এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > এবার কি লক্ষণ শেঠ বিজেপিতে ব্রাত্য হতে চলেছেন?

এবার কি লক্ষণ শেঠ বিজেপিতে ব্রাত্য হতে চলেছেন?


একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা, কিন্তু কালের নিয়মে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর প্রায় রাজনৈতিক সন্যাস জীবনে চলে গিয়েছিলেন। তিনি লক্ষণ শেঠ, পূর্ব মেদিনীপুর অধিকারী-গড় হওয়ার আগে তাঁর নামেই ছিল লক্ষণ-গড়। পরবর্তীকালে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান, কিন্তু বিজেপিরই একাংশ চায়নি তিনি বিজেপিতে আসুন বলে রাজনৈতিক গুঞ্জন। কিন্তু নেতা আকাশ থেকে পড়ে না নিজেদের না থাকলে অন্যদল থেকে নিতে হবে এই সমীকরণে বিজেপিতে আসেন। এরপর কাঁথি উপনির্বাচনে বিজেপি যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে তার সিংহভাগ কৃতিত্ত্ব যায় তাঁর ঝুলিতেই। রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল তারফলে তিনি বিজেপিতে তাঁর আসনটি পাকাপাকি করে নিলেন।
কিন্তু আজ উলুবেড়িয়ায় ধরা পড়ল ভিন্ন চিত্র। উলুবেড়িয়াতে দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন লক্ষণ শেঠ, পরে মঞ্চে প্রবেশ করেন মুকুল রায়, সেসময় মঞ্চে উপস্থিত রূপা গাঙ্গুলির হাত ধরে জনতার অভিবাদন কুড়োন মুকুলবাবু। দেখা যায় লক্ষনবাবুও জোর করে মুকুল বাবুর হাত ধরে একই পংক্তিতে আসার চেষ্টায় আছেন, হাত ছাড়িয়ে নেন মুকুল রায়। এরপর আবার দ্বিতীয়বার প্রচেষ্টা করেন লক্ষণ বাবু, এবারও হাত ছাড়িয়ে নেন মুকুল রায়। কার্যত অসহায় লাগে কালো চশমায় চোখ ঢেকে নীল পাঞ্জাবিতে দাঁড়িয়ে থাকা এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে, যা চোখ এড়ায় না উপস্থিত সাংবাদিকদের। এখন রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, মুকুল রায়ই বকলমে হতে চলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখ, সেক্ষেত্রে দু-দুবার এইভাবে তিনি লক্ষণ শেঠের হাত প্রকাশ্য মঞ্চে দূরে ঠেলে দিলেন, তাহলে কি বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ত্বের বলয় থেকে ধীরে ধীরে সরে যেতে লাগলেন লক্ষণ শেঠ? যদিও নিজের বক্তব্যের শেষের দিকে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সময় লক্ষণ শেঠের নামও নেন মুকুলবাবু, তবুও ওই হাত সরিয়ে দেওয়া, প্রশ্ন তুলে দিল রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!