মোটা টাকার লোভ সামলাতে না পেরে দলবদল করছে বিধায়করা, গুজরাটে রাজ্য কংগ্রেস এমনটাই দাবি করছে বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে একের পর এক বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে ক্রমাগত নাম লেখাচ্ছেন। এদিকে রাজ্যসভা ভোট আসন্ন অন্যদিকে বিধায়করা ইস্তফা দিচ্ছেন বিষয়টি কংগ্রেসের জন্য যথেষ্ট চিন্তাদায়ক হয়ে উঠেছে। প্রায় দোড়গোড়াতেই এসে গেছে রাজ্যসভার নির্বাচন। গুজরাটে ১৮২ আসনের মধ্যে রাজ্যসভা নির্বাচন চারটি আসনের।

সূত্রের খবর রাজ্য কংগ্রেসের দলে প্রাথমিকভাবে ৭৩ জন বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি একের পর এক বিধায়ক দল থেকে ইস্তফা দেওয়াতে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে। জানা গেছে এদিন কংগ্রেস নেতা অর্জুন মোতয়াদিয়ার বিজেপির বিরুদ্ধে তীর ছুড়ে বলেছেন, বিজেপি টাকার লোভ দেখিয়ে বিধায়কদের নিজেদের দলে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দাবি, যে সব বিধায়করা জীবনে কোনদিন ৫০ লক্ষ টাকা একসাথে দেখেননি তাঁদেরকে ২০ কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে দলকে পুষ্ট করছে বিজেপি।

তাই দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকের তত্ত্বাবধানে ৬৫ জন বিধায়কদের মধ্যে ২৫ জন বিধায়ককে রাজস্থানের অম্বাজির আবু রোডের একটি রিসোর্টে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীর মাধ্যমেও কোনভাবেই তিনজন বিধায়ককে লুকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি রাজ্য কংগ্রেসের। এদিন ওই তিনজন বিধায়ক মন্দির যাওয়ার নাম করে গুজরাটে পালিয়ে যান বলে সূত্রের খবর। এমনকি জানা গেছে এই তিনজন আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন।

যদিও কংগ্রেসের এই দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। গেরুয়া শিবিরের দাবি অনুযায়ী কংগ্রেসের একের পর এক বিধায়ক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। এখানে বিজেপির কোনরকম কোন অঙ্গুলিহেলন নেই। বিজেপির বক্তব্য অনুযায়ী কংগ্রেসের ভিত ক্রমাগতই নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার কারণে বিরোধীপক্ষের আঙ্গুল তোলা হচ্ছে। যদিও বিজেপির এহেন মন্তব্যে রাজ্য কংগ্রেস বিশেষ কিছু আর বলেনি বলেই সূত্রের খবর। কিন্তু কংগ্রেসের হেভিওয়েট বিধায়কদের একের পর এক ইস্তফা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বলে জানা গেছে।