এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের ‘যুবরাজের’ ঘুম ছোটানোর পরিকল্পনায় মুখ কি শঙ্কুদেব পণ্ডাই? বাড়ছে জল্পনা

তৃণমূলের ‘যুবরাজের’ ঘুম ছোটানোর পরিকল্পনায় মুখ কি শঙ্কুদেব পণ্ডাই? বাড়ছে জল্পনা


আজ রাজ্য-রাজনীতিতে একসাথে ঘটে গেল দুটি বড় ঘটনা – একদিকে পালিত হল, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস। অন্যদিকে, ‘কাকতালীয়ভাবে’ ঠিক আজকের দিনেই বিজেপির যুব সংগঠনে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে রাজ্য কমিটিতে নেওয়া হল চার হেভিওয়েট নেতাকে। গেরুয়া শিবিরের যুব সংগঠনে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, বীজপুরের বিধায়ক তথা মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়, ভাটপাড়ার বিধায়ক তথা অর্জুন সিংয়ের পুত্র পবন সিংয়ের পাশাপাশি চমক জাগিয়ে চতুর্থ নাম হিসাবে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে নিয়ে আসা হল।

আর, কোনও জনপ্রতিনিধি না হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে যুব সংগঠনের রাজ্য কমিটিতে নিয়ে আসা হল – তাতে শুরু হয়ে গেল একাধিক জল্পনা। তাহলে কি তৃণমূলের ‘যুবরাজের’ পাল্টা মুখ হিসাবেই শঙ্কুদেব পণ্ডাকে তুলে আনতে চায় গেরুয়া শিবির? কেননা, শঙ্কুদেব পণ্ডার ঘনিষ্ঠ শিবির বারেবারেই দাবি করে থাকেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর হাত ধরেই গোটা রাজ্যে শক্তিশালী হয়ে ওঠে টিএমসিপি – দলের যুবনেতা হিসাবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নাকি সর্বস্তরে পৌঁছে যাচ্ছিল। অথচ নাকি ‘যুবরাজকে প্রতিষ্ঠা’ দেওয়ার জন্যই সবার আগে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে ‘ রাজনৈতিক বলি’ করা হয়!

ফলে, গেরুয়া শিবিরে এখন তীব্র জল্পনা, তৃণমূলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ‘বাপি বাড়ি যা’ করার জন্যই শঙ্কুদেব পণ্ডাকে ‘মুখ’ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। আর দায়িত্ব পেয়েই শঙ্কুদেব পণ্ডাও বুঝিয়ে দিলেন – তিনি রীতিমত প্রস্তুত! এদিন তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে অভিষেক ব্যানার্জির বক্তব্যকে যেভাবে ‘বাউন্ডারির’ বাইরে পাঠানো শুরু করলেন তাতে রীতিমত জল্পনা বেড়ে গেল গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজ অভিষেক ব্যানার্জি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বিধানসভা ভোটে ২৫০ টি পেয়ে তৃতীয়বার সরকার গঠন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১তে নেত্রী স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘বদলা নয় বদল চাই।’ সে দিন যদি বদলার রাজনীতি করতাম, তাহলে আজ যাঁরা বড় বড় কথা বলে বাজার গরম করছেন, তাঁদের টিকি পাওয়া যেত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের সোনার বাংলাকে কেউ কেউ অশান্ত করতে চাইছে। আমরা সবাই মিলে এই পার্টির সম্মান রক্ষা করব। বড় বড় বাবুদের লড়াইটা আমাদের সঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত যেতে দেব না। নেত্রী নির্দেশ দিলেই আমরা ছাত্র-যুবরা তাদের মাঠে নামার আগেই দশ গোল দেব।

এই প্রসঙ্গে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আসলে ওনার ‘শূন্য’ সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই! লোকসভা নির্বাচনের আগে বলেছিলেন – বাংলায় বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে! দেশে বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে! কি হয়েছে সবাই দেখেছে। উনি বলেছিলেন ৪২-এ-৪২ হবে – কি হয়েছে সবাই দেখেছে! আসলে ‘শূন্য’ কোথায় বসাতে হয় উনি ঠিক জানেন না ওটা ২৫০ নয়, আসলে উনি বলতে চেয়েছেন তৃণমূল ২৫ আসন পাবে! আমরা ছাত্র যুবরা মিলেই ওনার ২৫০-এর স্বপ্নের ‘শূন্যটাকে’ বাঁদিকে নিয়ে এসে ২৫ করে দেব!

শঙ্কুদেব পণ্ডা এদিন আরও জানান, আসলে বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে বর্জন করে ফেলেছে – এটা এখনো উনি বুঝতে পারেননি! লোকসভা নির্বাচনের পর ২১ শে জুলাই বা আজকের সভার ‘ভিড়’ দেখে স্পষ্ট বিদায় ঘন্টা শুনতে পাচ্ছেন! তাই এইসব ২৫০ আসন বলে বাজার গরম করতে চাইছেন – কিন্তু, তাতে কি লাভ হবে? সৌমিত্র খাঁ বা অর্জুন সিংকে ২ লাখ না কত ভোটে না হারাতে পারলে উনি নাকি বলেছিলেন রাজনীতি ছেড়ে দেবেন! আসলে রাজনীতিটা একদম তৃণমূলস্তর থেকে করতে হয় – তবে মানুষ কি চাইছেন বা তাঁদের কথা ভাবা যায়! নাহলে ৪২-এ-৪২ এর মত ‘এপিক স্টেটমেন্ট’ সামনে আসে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!