এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কবে চালু হবে নতুন বেতন কমিশন? কি হতে চলেছে নতুন বেতন কাঠামো? জানুন বিস্তারিত

কবে চালু হবে নতুন বেতন কমিশন? কি হতে চলেছে নতুন বেতন কাঠামো? জানুন বিস্তারিত

রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া দাবী-দাওয়া আর কিছু বাকি রাখবেন না তিনি। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীত্ত্ব গ্রহণ করার পরে চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন দাঁড়ায় – তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিগত বাম-সরকার রাজ্যের উপর যে দেনার দায় চাপিয়ে দিয়ে গেছে, তার জন্য বিপুল পরিমান সুদের বোঝা তাঁর সরকারের মাথার উপর চেপেছে। তার উপরে বাম আমলের ৩৪ বছরে রাজ্যে উন্নয়ন বলে কিছুই হয় নি – সুতরাং সেই উন্নয়নের ভারও তাঁর সরকার প্রবল গতিতে করতে মরিয়া।

আর তাই, সবদিক বিবেচনা করে তাঁর পক্ষে যতটুকু যখন সম্ভব – তিনি সেইভাবেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ বা কেন্দ্রীয়হারে বেতন দেবার ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু, এর ফলে বিপুল ক্ষোভ জমেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মনে। এমনকি, অনন্যপায় হয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আইনি লড়াইয়ের পথেও হেঁটেছেন। যে মামলা আপাতত কলকাতা হাইকোর্ট ঘুরে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যালে শুনানির জন্য অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয়হারে বেতন দেওয়ার লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের নেতৃত্ত্বে বেতন কমিশনের ঘোষণা করেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সেই বেতন কমিশনের বিরুদ্ধেও অবশ্য দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ উঠেছে। বারবার, সেই কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে – আপাতত সেই কমিশনের মেয়াদ আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে জল্পনা ছিল যে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এই নিয়ে ঘোষণা নাও হতে পারে। কিন্তু, হঠাৎই এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। যে পোস্টে দাবি করা হয়েছে – অভিরূপবাবু নতুন বেতন কাঠামো সংক্রান্ত তাঁর মতামত জমা দিয়ে দিয়েছেন। সেই পোস্টে আরো দাবি করা হয়েছে – নতুন বেতন কাঠামো (ষষ্ঠ বেতন কমিশন যা কেন্দ্রীয় সপ্তম বেতন কমিশনের সমানুপাতিক) চালু হতে চলেছে আগামী ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে।

এছাড়াও, ওই পোস্টে আরো দাবি করা হয়েছে যে নতুন বেতন কাঠামো নিম্নরূপ হতে পারে –
১. বেসিক পের উপর ১২৫% ডিএ/গ্রস স্যালারির উপর ১৫% বৃদ্ধি – যা ২০১৯ এর ১ লা এপ্রিল থেকে এফেক্টিভ হবে (অর্থাৎ যাঁদের গ্রস স্যালারি ২০১৮ এর ডিসেম্বরে ১,০০০ টাকা তা বেড়ে ২০১৯ এর জানুয়ারী মাসে হবে ১,১৫০ টাকা)
২. নতুন বেতন কাঠামোয় ৫% ডিএ এফেক্টিভ হবে ১ লা এপ্রিল ২০১৯ থেকে (অর্থাৎ ১,১৫০ টাকার গ্রস স্যালারি বেড়ে দাঁড়াবে ১,২০০ টাকায়)
৩. নতুন বেতন কাঠামোয় ৩% ‘আর্লি ইনক্রিমেন্ট অফ বেসিক’, যা এফেক্টিভ হবে ১ লা জুলাই ২০১৯ থেকে (অর্থাৎ ১,২০০ টাকার গ্রস স্যালারি বেড়ে হবে ১,২৫০ টাকা)
৪. ‘ফিক্সেশন অফ পে ইন নিউ বেসিক’, যা ১ লা জুলাই ২০১৯ থেকে এফেক্টিভ হবে নিম্নরূপে –
‘এক্সিস্টিং ব্যান্ড পে’ X ২.৩৫ + ‘নিউ গ্রেড পে’ = রিভাইসড বেসিক পে
(এক্ষেত্রে, নিউ গ্রেড পে = ওল্ড গ্রেড পে X ১৫০% বা তার থেকে বেশি, তবে নতুন পে কমিশনে কোন ‘ব্যান্ড পে’ থাকছে না)
৫. অর্থাৎ, নতুন গ্রস পে-এর হিসাব দাঁড়াবে এইরকম –
রিভাইসড বেসিক পে + ২% ডিএ + ১৫% এইচআরএ + ৮০০ টাকা এমএ
৬. অর্থাৎ, ওই ১,২৫০ টাকার গ্রস পে ২০১৯ সালের ১ লা জুলাই থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১,৪০০ টাকায়
৭. অর্থাৎ, সবমিলিয়ে বর্তমান বেতনের থেকে মোট ৪০% করে বেতন বৃদ্ধি পাবে সরকারি কর্মচারীদের

যদিও, এই হিসাব বা তারিখ সবটাই পাওয়া গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই নিয়ে কোন সরকারি বিবৃতি এখনো আমাদের হাতে আসে নি। এমনকি, এই প্রসঙ্গে আমরা অভিরূপবাবুর সঙ্গেও কোন যোগাযোগ করতে পারি নি। তবে, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই খুশির হাওয়া রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। এখন দেখার, বাস্তবে সত্যিই তাঁদের বেতন ৪০% বাড়ে কিনা – সেদিকেই আপাতত পাখির চোখ করে বসে আছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!