এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > শ্রমিক আন্দোলনে উত্তাল শুভেন্দু গড়, পাঁচটি সংগঠন একযোগে লাগাতার আন্দোলনের পথে

শ্রমিক আন্দোলনে উত্তাল শুভেন্দু গড়, পাঁচটি সংগঠন একযোগে লাগাতার আন্দোলনের পথে

উৎসবের মরশুম শেষ হতে না হতেই ফের শ্রমিক সংগঠনের লাগাতার বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হলদিয়া শিল্পাঞ্চল। কিন্তু হঠাৎ কি নিয়ে আবার দুর্যোগের ঘনঘটা এই হলদিয়া বন্দরে? অভিযোগ, হলদিয়া বন্দরের রেল ডিভিশনে লোকোমোটিভ ইঞ্জিন চালানোর কাজে নিযুক্ত কর্মীসংখ্যা হঠাৎ করেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এর প্রতিবাদেই 5 শ্রমিক সংগঠনের ডাকে শুরু হয়েছে প্রবল বিক্ষোভ-আন্দোলন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই হলদিয়া পোর্টের সাতটি লোকোমোটিভ রেল ইঞ্জিন আছে। দুর্গাচক স্টেশন পর্যন্ত মালগাড়ির রেক নিজস্ব ইঞ্জিন ও কর্মী দিয়ে পৌঁছে দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ আর এরপর সেখান থেকে রেল কর্মীরা নিজেদের রেক ইঞ্জিন লাগিয়ে তা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছে দিতে সাহায্য করেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এর জন্য নিযুক্ত 6 জন কর্মী এই কাজ করে আসছেন।

কিন্তু গত ছয় মাস আগে বন্দর কর্তৃপক্ষ লোকোমোটিভ ড্রাইভারের অ্যাটেনডেন্ট ও ওয়াগন কাপলিংয়ের কাজ করা কাপলিং পোর্টার এই দুটি পদ তুলে দিতে চাইলে তা নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের বৈঠকে শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় যে, সেই ওয়াগন কাপলিং রাখা না হলেও ড্রাইভারের অ্যাটেনডেন্ট পদটি রাখা হবে।

আর এরপর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও গত সপ্তাহে হঠাৎই এই বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে এই লোকোমোটিভ ইঞ্জিন চালানোর ক্ষেত্রে 4 জন কর্মী রাখা হবে। আর এর জেরেই শ্রমিক মহলে শুরু হয় তীব্র অসন্তোষ।

সূত্রের খবর, সোমবার সিটু, আইএনটিটিইউসি সিপিএসইউ সহ পাঁচটি শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা একযোগে রেলওয়ে পণ্য পরিবহনের কাজ বন্ধ করে হলদিয়া বন্দরের রেল ডিভিশনের ম্যানেজারের অফিসের সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখান।

এদিন এই প্রসঙ্গে ক্যালকাটা পোর্ট শ্রমিক ইউনিয়ন সংগঠনের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি ফণিভূষণ চক্রবর্তী বলেন, “বন্দর কর্তৃপক্ষের এহেন তুঘলকী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা পাঁচটি সংগঠন একযোগে আন্দোলনে নেমেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু শ্রমিকদের এই অসন্তোষে তো আদতে ক্ষতি হবে হলদিয়া বন্দরেরই! এদিন এই প্রসঙ্গে হলদিয়া বন্দরের জিএম অমল দত্ত বলেন, “একটা সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু আমি এ বিষয়ে বিষদে কিছু জানি না।” সব মিলিয়ে এখন শ্রমিক আন্দোলনে উত্তপ্ত হলদিয়ার পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!