এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভাইপোকে বাঁচানোর চেষ্টাতেই দিল্লি ছুটে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী – সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ

ভাইপোকে বাঁচানোর চেষ্টাতেই দিল্লি ছুটে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী – সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ


২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে দেশের সবথেকে বড় মোদী-বিরোধী হিসাবে প্রমানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই নির্বাচনে নিজের দলের ৩৪ জন সাংসদ থাকলেও, তিনি প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে যোগ দেন নি। এমনকি পরবর্তীকালে নোটবাতিল হোক বা জিএসটি – মোদী বিরোধিতায় তিনি মুখর হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে চালু করতেও দেন নি বিভিন্ন সময়।

আর তারপরে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হতেই, তৃণমূল নেত্রীর দাবি ছিল বাংলা থেকে তাঁর দল ৪২ এ ৪২ পাবে। দেশে পরবর্তী সরকার হবে মা-মাটি-মানুষের সরকার, তাঁর দলের নেতারাও উচ্চগ্রামে প্রচার করতে থাকেন – বাংলা থেকে ৪২ টি আসন জিতে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম হতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে গোটা নির্বাচনী প্রচার জুড়েই নরেন্দ্র তীব্র ভাষায় আক্রমন করে গেছেন মমতা ব্যানার্জি ও তাঁর দলের নেতা-নেত্রীরা। কখনো কখনো তো সেই আক্রমন শালীনতার সীমাও লঙ্ঘন করে গেছে বলে অভিমত বিজেপি শিবিরের।

তৃণমূল নেত্রী ভোট প্রচারে, কখনো প্রধানমন্ত্রীকে ‘গণতন্ত্রের থাপ্পড়’ মারতে চেয়েছে, কখনো কান ধরে ওঠবোস করতে চেয়েছেন, কখনও মাটি আর কাঁকরের মিষ্টি পাঠাতে চেয়েছেন তো কখনো আবার তুই-তোকারিতে নেমে এসেছেন! কিন্তু ফল বেরোতেই দেখা যায় তৃণমূল নেত্রীর স্বপ্নকে টুকরো টুকরো করে দিয়ে বাংলা থেকে ১৮ টি আসন জিতেছে বিজেপি, শুধু তাই নয় গোটা দেশে ৩০৩ টি আসন জিতে একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেছে গেরুয়া শিবির। ফলে, আগামীকাল দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে না থাকলেও, এবার সেই অনুষ্ঠানে থাকতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে জানা গেছে। তিনি নিজে জানিয়েছেন, আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, মাঝে আর এক দিন রয়েছে হাতে। তবে প্রধানমন্ত্রীর শপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা যেহেতু সাংবিধানিক সৌজন্য তাই এই সিদ্ধান্ত। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই অন্য সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এদিকে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বৃস্পতিবারের সব কর্মসূচি বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে, সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে এবার শুরু হল নতুন বিতর্ক। নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ব্যারাকপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া অর্জুন সিং এদিন এই প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানান, ভাইপোকে বাঁচানোর চেষ্টাতেই দিল্লি ছুটে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী! প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেত্রী ভোটপ্রচারের সময় জানিয়েছিলেন যে নির্বাচন মিটলেই, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেবেন তিনি। কিন্তু, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে গোটা রাজ্যজুড়েই তৃণমূল নেতা-কাউন্সিলর-বিধায়কদের বিজেপিতে যোগদানে ঢল নেমেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেত্রীর দিল্লি উড়ে যাওয়া এবং অর্জুন সিংয়ের এই বিস্ফোরক অভিযোগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!