লকডাউনের জেরে দূষণ কম, ওজোন স্তরের মেরামত শুরু,ক্রমশ সুস্থ হচ্ছে পৃথিবী আন্তর্জাতিক জাতীয় রাজ্য April 2, 2020 করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্বজুড়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে লাল সর্তকতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। পাশাপাশি মারা গিয়েছেন আরও বহুজন। ইতিমধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে লকডাউন। তবে এই লকডাউন এর সুফল পেতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশের মানুষ এবং তা চোখে পড়ছে খুব সহজেই। অর্থাৎ করোনা এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি কাবু না হলেও দূষণ কিন্তু ইতিমধ্যেই পালিয়ে গেছে। লকডাউনে গৃহবন্দী প্রায় প্রতিটি মানুষ। গাড়ি চলাচল করছে না বললেই চলে। বন্ধ প্রতিটি কলকারখানা। ফলে বায়ু দূষণের পরিমাণ বহুলাংশে কমে গেছে বলে জানাচ্ছেন পরিবেশবিদরা। আর দূষণ কমে যাওয়ায় ওজোন স্তরে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল তা অত্যাশ্চর্যভাবে নিরাময়ের দিকে এগোচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিআইআরইএসের পর্যবেক্ষক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে দক্ষিণ গোলার্ধের পরিবেশে এবং আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন চোখে পড়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের ফলে ওজোন স্তরে এক বিশাল গহ্বর সৃষ্টি হয়েছিল। এই মুহূর্তে সারাবিশ্বে দূষণের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত ভাবে কমে যাওয়ায় ওজন স্তরের গহ্বরের মেরামত শুরু হয়েছে। ফলস্বরূপ, পৃথিবীর পরিবেশ এবং জীবজগৎ যে বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে চলেছিল, তা থেকে হয়তো এবারের মতো রক্ষা পাওয়া গেল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। অন্যদিকে সারা পৃথিবীর সঙ্গে সঙ্গে কলকাতাতেও চলছে লকডাউন। লকডাউন এর ফলে দূষণের মাত্রা কমে যাওয়ায় এত পরিষ্কার কলকাতার আকাশ রাতের অন্ধকারে আগে কোনদিন দেখা গিয়েছিল কিনা সে বিষয়ে নিজেরাই সন্দেহ প্রকাশ করছেন কলকাতাবাসীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাতের আকাশে এত ঝকঝকে সপ্তর্ষিমণ্ডল আগে কখনো দেখা যায়নি বলেই দাবি করছেন কলকাতাবাসী। করোনা ভাইরাস আটকাতে যে লকডাউন চলছে তাতে দেশ থেকে দেশান্তরে, শহর থেকে শহরতলীতে- বাতাসে বিষ এর পরিমাণ কমেছে। যার ফলে পরিবেশের এখন বিভিন্ন সুন্দর মুহূর্ত ধরা পড়ছে। কোথাও দেখা যাচ্ছে সমুদ্রতটে অলিভ রিডলে জাতীয় কচ্ছপ এসে লাখে লাখে ডিম পেড়ে যাচ্ছে, কোথাও দেখা যাচ্ছে সমুদ্রের কিনারায় এসেই ডলফিনরা লাফালাফি করছে, কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছে হরিণ। অন্যদিকে, রাতের আকাশে একঝাঁক তারা দেখা যাচ্ছে। মেঘমুক্ত আকাশে স্পষ্ট ধ্রুবতারা থেকে সপ্তর্ষিমণ্ডল। এই বিষমুক্ত আকাশ এবং মুক্ত প্রাণীজগৎ দেখার সুযোগ হতো না যদি না করনার জেরে লকডাউন হতো। অবাক করার মত ব্যপার হলো, যা তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা করতে পারলেন না এতদিন ধরে, তা করে দেখালো মারণ ভাইরাস করোনা। সচেতনতা প্রচার, সরকারি পদক্ষেপ সবকিছুকে হেলায় হারিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয় মানুষকে গৃহবন্দী করেছে। লকডাউন জারি হয়েছে দেশজুড়ে। বন্ধ হয়েছে রাস্তায় গাড়ির দৌরাত্ব। বাড়ির বাইরে বেরোনোর আগেও দু’বার ভাবছেন সকলে। আর তাই লকডাউনের জেরে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত কমে গেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। লকডাউন এর ফলে করোনা প্রকোপ থেকে বাঁচা যাবে কিনা তা হয়তো সময় বলবে, তবে বিশ্বের অনেক দেশে যে দূষণ মাত্রা কমে গেছে আহানুরূপভাবে এবং পরিবেশে যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা অত্যন্ত ভালো লক্ষণ বলে মনে করছেন বৈজ্ঞানিকরা। আপনার মতামত জানান -