বাংলায় লকডাউন নিশ্চিত করতে কড়া হতে শুরু করল পুলিশ! নজরদারিতে শুরু অভিনব পন্থা কলকাতা রাজ্য April 12, 2020 আগামী 14 এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন এর সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। করোণা ভাইরাসকে আয়ত্তে আনতে হলে এই লকডাউনই কড়া প্রতিষেধক। তবে সেই লকডাউন অনেক সময় বেশ কিছু মানুষকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাজার খোলা থাকায় সাধারণ মানুষ অনেক জায়গাতেই স্বাভাবিকভাবে রাস্তায় বেরিয়েছেন। আর এমতাবস্থায় করোনা ভাইরাস যখন চরম আকার নিয়েছে, ঠিক তখনই আগামী 30 এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হল বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে লকডাউন বৃদ্ধি হলেও, রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় তা প্রতি মুহূর্তে ভাঙতে দেখা যাচ্ছে। প্রথমদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন এবং পুলিশ লকডাউন অমান্যকারীদের লাঠিচার্জ করলে, পরিস্থিতি অনেকটাই আয়ত্তে এসেছিল। সেভাবে রাস্তায় মানুষকে আর বের হতে দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে বাড়াবাড়ি না করার কথা বলার পরেই পুলিশ আর সেভাবে লাঠিচার্জ করেনি এবং কড়াকড়ি করেনি। যার ফলে মানুষ বাইরে বেরোতে শুরু করেছে। ভাঙছে লকডাউনের মাহাত্ম্য। আর এমন একটা পরিস্থিতিতে বিরোধী দল সহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বাংলায় লকডাউন না হওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের সদর দপ্তর নবান্নে একটি চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, রাজ্যের বেশকিছু এলাকায় লকডাউন মানা হচ্ছে না। এর জন্য যেন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার বেশ কিছু এলাকাকে হটস্পট বলে চিহ্নিত করেছে। আর এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি পাওয়ার পর কিছুটা চাপে পড়ে লকডাউনকে সাফল্য পাইয়ে দিতে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য প্রশাসন। সূত্রের খবর, এবার ড্রোনের মাধ্যমে কড়া নজরদারি শুরু করল কলকাতা পুলিশ। জানা গেছে, রবিবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত লকডাউন আইন ভাঙার জন্য 267 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 45 টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনের এবার একটু লকডাউন আইনকে মান্যতা দেওয়ার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কেননা লকডাউনের প্রথম দিকে পুলিশ প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছিলেন অনেকেই। তবে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ যাতে কড়াকড়ি না করে, তা বলার পরেই পুলিশের এক্ষেত্রে শিথিলতা লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে সাধারণ মানুষ বাইরে বেরোতে শুরু করেন। তবে পরিস্থিতি বেগতিক হচ্ছে দেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে কড়া চিঠি পাঠানোর পরেই এবার হুশ ফিরল রাজ্য প্রশাসনের। এখন ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালিয়ে লকডাউন আইনকে মানতা দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসনের এই উদ্যোগ কতটা সাফল্য পায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -