ভালো চিকিৎসা পেতে গেলে দিতে হবে মোটা টাকা ঘুষ? কলকাতার ডাক্তারের কাণ্ডে হতবাক গোটা দেশ! কলকাতা রাজ্য September 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার শুরু থেকেই সাধারণ মানুষদের একটাই অভিযোগ এখনো পর্যন্ত। বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনার সুযোগে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা বিলবাবদ নিচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালের খরচ কমানো নিয়ে এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও বহুবার আবেদন করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেসরকারি নার্সিংহোমগুলির চিত্রের বিশেষ কোনো হেরফের হয়নি। অন্যদিকে এতদিন পর্যন্ত শোনা যেত, করোনা রোগীদের কাছ থেকে বেসরকারি নার্সিংহোমগুলি অতিরিক্ত হারে বিল বানাচ্ছে। এবার নতুন করে যোগ হলো আরো একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ কলকাতার নামজাদা এক নার্সিংহোমের চিকিৎসক রোগীর পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছে লক্ষ টাকা। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল শোরগোল। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার ইউএন ব্রহ্মচারী স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন অভিযোগকারী। জানা গেছে 14 দিন নার্সিংহোমে থাকার দরুণ তার বিল হয়েছে তিন লক্ষ চুয়াত্তর হাজার টাকা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে অন্য জায়গায়। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, বিল বাদ দিয়ে চিকিৎসক তাঁর কাছে আলাদা করে এক লাখ টাকা চেয়েছেন। উন্নত মানের চিকিৎসা দেওয়ার শর্তস্বরূপ এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম কুমার বন্দোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতদিন পর্যন্ত চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার গোপনে অতিরিক্ত টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে যা নিতান্তই বিরল বলে মনে করা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযোগকারী এবং চিকিৎসক দুপক্ষকেই 14 দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ডাক্তারের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিযুক্ত চিকিৎসক যথেষ্ট যোগ্য। বহু কোভিড রুগীকে তিনি এ যাবৎকাল সুস্থ করে তুলেছেন। সুতরাং তাঁর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে বলে তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। এ প্রসঙ্গে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই থানায় এফআইআর করেছেন ওই চিকিৎসক। নার্সিংহোমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশি তদন্তে আসল সত্য উঠে আসবে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য কমিশনেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে করোনা চিকিৎসায় লক্ষাধিক টাকার বিল প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাপারটিকে স্বাভাবিক ব্যাখ্যা করেছে ঐ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে আসল দোষী কে তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে স্বাস্থ্য কমিশন। তবে স্বাস্থ্য কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অপরাধ প্রমাণ হলে কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আপাতত পুলিশি তদন্তের দিকেই নজর। অন্যদিকে 15 দিন পর নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এবং অভিযোগকারী কি প্রমাণ তুলে দেয় স্বাস্থ্য কমিশনের হাতে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -