এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > এতদিন পরেও আমপান ‘দুর্নীতি’ হয়েই চলেছে? বিধানসভার আগে তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল?

এতদিন পরেও আমপান ‘দুর্নীতি’ হয়েই চলেছে? বিধানসভার আগে তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণ দান নিয়ে একাধিকবার নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। একাধিকবার আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করেছে রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধীদল। আবার আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ দানে অস্বচ্ছতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে এলো পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকে। আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত গোয়ালঘর ও পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসায়ীদের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।

আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত ভাতার ব্লকের মোট ২৬ জন গোয়ালঘরও পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। তিন মাস আগেই এই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এখনো পর্যন্ত তাদের একাউন্টে টাকা এসে পৌঁছায় নি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভাতার ব্লক প্রাণীসম্পদ বিকাশ আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানালেন ক্ষতিগ্রস্থরা। প্রসঙ্গত আম্ফান ঝড়ে ভাতার ব্লকে ক্ষতিগ্রস্ত গোয়ালঘর ও পোল্ট্রি ফার্মের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ২৬ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল ভাতার ব্লক প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের অফিস থেকে।

যে তালিকা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছিল। আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত এই ২৬ জনের নাম তালিকায় থাকলেও তাদের একাউন্টে কোন টাকা ঢোকেনি।একারণেই আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা সম্মিলিত ভাবে অভিযোগ জানালেন ভাতার ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ আধিকারিক শঙ্খ ঘোষ এর কাছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পত্র জমা দিলেন তারা। তাদের অভিযোগ, সরকারি ভাবে তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হলেও একাউন্টের টাকা আসেনি তাদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিযোগকারী ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আবদুল রউফ, সঞ্জিত দাস জানালেন যে, কয়েক মাস আগেই তাঁরা আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপর জেলা পরিষদ অফিসের এক কর্মীর কাছে তাঁরা জানতে পারেন যে, তাদের টাকা চলে এসেছে। কিন্তু আশ্চর্জজনক ভাবে তাদের একাউন্টে কোন টাকা আসেনি। কোথায় গেল এই টাকা? এর উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।

আবার, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অয়ন ঘোষ, রঞ্জিতকুমার ঘোষ জানালেন যে, তাঁরা আবেদনপত্র যে মোবাইল নাম্বার দিয়েছিলেন, সেটা তাদের নিজস্ব নাম্বার ছিল। পরে তাঁরা জানতে পারেন যে, সেই মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো তার তদন্ত চান তারা। তাদের এই অভিযোগ সম্পর্কে ভাতার ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ আধিকারিক শঙ্খ ঘোষ তেমন কোন বক্তব্য রাখলেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি এটুকুই জানালেন, ” বিষয়টি নিয়ে আমার কিছুই জানা নেই। যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবে।”

আজ ভাতার ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ আধিকারিক শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে অভিযোগকারীদের আলোচনা চলেছে। এরপর আধিকারিকদের এ বিষয়ে আশ্বাস দিলে তারা তাদের অভিযোগ জমা দিয়ে অফিস থেকে চলে যান। এরপর তারা তাদের এই অভিযোগের প্রতিলিপি জমা করেন ভাতারের বিডিওর কাছে। প্রসঙ্গত শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারবার অম্ফান দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধী দল। এবার এ বিষয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় বেকায়দায় পড়তে হবে শাসকদলকে। শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রচারের নতুন অস্ত্র পাবে বিরোধীরা। এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!