এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাবুলের ঘরে ভাঙ্গন ধরালেন মলয়, গড়রক্ষা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি!

বাবুলের ঘরে ভাঙ্গন ধরালেন মলয়, গড়রক্ষা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিজেপিরক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসানসোল। 2014 সালের পর 2019 সালে এই কেন্দ্রে যাতে জয় আসে, তার জন্য রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু 2014 সালে বিজেপি জয়লাভ করার পর 2019 সালে আবারও এখানে জয়লাভ করেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। আর তারপর থেকেই যতদিন যেতে শুরু করে, ততই আসানসোল বিজেপির শক্তঘাঁটি হয়ে ওঠে। তবে এবার সেই আসানসোলেই বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে ফুটে গেল পদ্মফুল।

যেখানে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় 35 জন বিজেপি নেতা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাবুল সুপ্রিয়র মত হেভিওয়েট সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গড়ে এভাবে ব্যাপক নেতার বিজেপি ত্যাগ এবং তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান বিজেপিকে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, রবিবার আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি যোগদান মেলার আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই প্রায় 35 জন বিজেপি নেতা গেরুয়া শিবির ছেড়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। যাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। আর বাবুল সুপ্রিয়ের গড় বলে পরিচিত আসানসোলে 35 জন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় রীতিমতো উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে ঘাসফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন বিজেপি নেতাদের নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে কার্যত গেরুয়া শিবিরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মলয় ঘটক। তিনি বলেন, “বিজেপি কর্মীরা বুঝতে পেরেছেন, পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে থাকেন। তাই তাদের দলের স্বাগত জানানো হয়েছে। আগামী দিনে ভারতবর্ষের উন্নয়ন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন, তারা সকলেই বিজেপির পুরনো কর্মী। আসানসোল উত্তর বিধানসভায় বিজেপির পার্টি অফিসের তালা খোলার থাকল না।”

বলা বাহুল্য, আসানসোলে যারা গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন, তারা বিজেপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। এক্ষেত্রে মদনমোহন চৌবে থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী সেলের কনভেনার দেবাশিষ সরকারের মত গুরুত্বপূর্ণ নেতারা গেরুয়া শিবির ত্যাগ করেছেন। অনেকে বলছেন, নিজেদের শক্ত ঘাঁটিতে যখন একের পর এক নেতা দল ছাড়তে শুরু করেছেন, তখন এবার সেদিকে মনোযোগী হওয়া উচিত ভারতীয় জনতা পার্টির।

এক্ষেত্রে ভাঙ্গন যদি তারা বর্তমানে আটকাতে না পারে, তাহলে আগামী দিনে তাদের আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। কেননা সামনেই পৌরসভা নির্বাচন রয়েছে। সেদিক থেকে আসানসোলের মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এভাবে বিজেপির ভাঙ্গন যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বকে। যা সামাল দিতে আগামী দিনে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!