এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশে নবান্নের মসনদে শেষ পর্যন্ত কে? হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের আগে সামনে এল কোন বড়সড় ইঙ্গিত?

একুশে নবান্নের মসনদে শেষ পর্যন্ত কে? হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের আগে সামনে এল কোন বড়সড় ইঙ্গিত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের নির্বাচন যত কাছে আসছে ততই রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়ছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির। একুশের নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে ময়দানে নেমেছে রাজ্যের দুই যুযুধান শিবির। তৃণমূল এবং বিজেপি যেকোনো মূল্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলায় পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর। একটাই লক্ষ্য তাঁদের, বাংলার বিধানসভার মসনদ দখল করা। আর সেই সূত্রে রাজ্য থেকে কেন্দ্র প্রত্যেক বিজেপি নেতা এখন মন দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের উপর। পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল 10 বছরের ক্ষমতাশালী। এত সহজে তাঁরা ক্ষমতা ছেড়ে দিতে মোটেই রাজি নয়।

আর তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বড়োসড়ো রাজনৈতিক সংঘাতে দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপি প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে চালাচ্ছে মিটিং মিছিল। চলছে একে অপরকে প্রবল আক্রমণ। একদিকে যেমন শনিবার রামলীলা ময়দান থেকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং বরানগর থেকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ব্যাপকভাবে আক্রমণ চালালেন বিজেপির ওপর, ঠিক সেভাবেই নন্দীগ্রাম থেকে আজ শুভেন্দু অধিকারী থেকে মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে দিলীপ ঘোষ- প্রত্যেকেই পাল্টা তৃণমূলকে একের পর এক ইস্যু নিয়ে আক্রমণ চালালেন।

শনিবার রামলীলা ময়দান থেকে করোনার ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে কৃষক আইন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রকে রীতিমতো তুলোধোনা করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এমনকি করোনার ভ্যাকসিনের জন্য কোন বিজেপি নেতার এগিয়ে না আসা নিয়েও তিনি রীতিমতো কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কৃষি আইন নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম শনিবার অভিযোগ করেন, গেরুয়া শিবির জোরজবরদস্তি মিডিয়ার মুখ বন্ধ করতে চাইছে। অন্যদিকে বরানগরের তৃণমূল সভা থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য বিজেপি নেতাদের খোলাখুলি আক্রমণ চালালেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সৌগত রায় এদিন লাভ জিহাদ এবং গো হত্যা প্রসঙ্গে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এ রাজ্যে বরাবরই ধর্মনিরপেক্ষতা দেখা গিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে পশ্চিমবঙ্গ থাকবে সবার উপরে। পাশাপাশি সৌগত রায় বলেন, বাংলায় গোহত্যা মোটেই বেআইনি নয়। এবং লাভ জিহাদ নিয়ে মামলা চললেও তার রায় এখনো ঘোষিত হয়নি। অন্যদিকে রাজ্যের কৃষকদের পাশে থাকার বার্তাও দেন তিনি বরানগরের সভামঞ্চ থেকে। তবে সৌগত রায়ের বক্তব্যে তীব্রভাবে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে কটাক্ষ। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাঙালির হৃদয় ছুঁতে মাঝেমধ্যেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা বলতে দেখা যায়।

যদিও বাংলা তাঁর মাতৃভাষা না হওয়ার কারণে কিছু ভুলভ্রান্তি থেকেই যায়। আর সেই ভুলভ্রান্তি নিয়েই সৌগত রায় তীব্র কটাক্ষ করেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত বলে তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের মতন সৌগত রায়ও ব্যাপকভাবে আক্রমণ চালান। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশেষজ্ঞরা মেনে নিচ্ছেন এক বাক্যে, রাজ্যজুড়ে তৃণমূল এবং বিজেপির লড়াই যত দিন যাচ্ছে ততই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে তৃণমূলের রাজ্য নেতারা গেরুয়া শিবিরের রাজ্য থেকে কেন্দ্র কোন নেতাকেই আক্রমণ থেকে বাদ দিচ্ছেন না।

গেরুয়া শিবিরও পিছিয়ে নেই। নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে সিঙ্গুর- বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা রাজ্য সরকার তথা শাসক দলকে করে চলেছেন ব্যাপকভাবে আক্রমণ। তবে শাসকদলের কিছুটা মাইনাস পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং ভাঙ্গন। আর শাসক দলের ভাঙ্গনের মধ্যে দিয়েই রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি নিজেদের জমি যে শক্ত করতে চাইছে সে কথা বলাই বাহুল্য। তবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের দাবী একশের বিধানসভা নির্বাচন কিন্তু রাজ্যের দুই যুযুধান শিবির তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!