এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিদ্রোহী রাজীব বাড়িয়েই চলেছেন মমতার অস্বস্তি! আবারো করলেন তৃণমূলের পর্দা ফাঁস

বিদ্রোহী রাজীব বাড়িয়েই চলেছেন মমতার অস্বস্তি! আবারো করলেন তৃণমূলের পর্দা ফাঁস


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর পরে কি এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? আবার কি বড়সড় উইকেট পড়তে পারে শাসকদল তৃণমূলের। না এখনো সেরকম কিছু ইঙ্গিত করেননি বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁকে নিয়ে কিছুতেই কমছে না দলের অস্বস্তি। ইতিপূর্বে একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁকে শান্ত করতে, আশ্বস্ত করতে তাঁর সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক পর্যন্ত হয়েছিল। তারপর কিছুদিন তিনি বিরত ছিলেন, কিন্তু গতকাল রবিবার আবার দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে দলের অস্বস্তি তিনি বাড়িয়ে দিলেন বহুগুণে। গতকাল হাওড়ার বালিতে তিনি স্পষ্ট ভাবে জানালেন যে, দলের মধ্যে বেশকিছু নেতা আছেন যারা দলের কর্মীদের চাকর-বাকর মনে করে, তাঁদের আবেগ নিয়ে খেলা করছেন। দলের কর্মীরাই এই নেতাদের উপযুক্ত জবাব দেবেন। এইসব নেতাকে ক্ষমতাচ্যুত করবেন দলের কর্মীরাই।

ইতিপূর্বে, দলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার বোমা ফাটিয়েছেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের বিরুদ্ধে প্রথমবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে বনমন্ত্রীকে গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। দক্ষিণ কলকাতার একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচির মঞ্চ থেকে দলের একাংশের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন যে, স্তাবকতা করতে পারলে বেশি নম্বর পাওয়া যায়। তিনি ভালোকে খারাপ, খারাপকে ভালো বলতে পারেন না, সেজন্যই তাঁর নম্বর কম, যা অন্যদের বেশি।

সেদিন এটুকু বলেই তিনি ক্ষান্ত হননি। তিনি আরও বলেছিলেন যে, দলের অন্দরে থাকা দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের উত্থান ঘটেছে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তাঁরা স্তাবকতা করে সামনের সারিতে উঠে এসেছেন, কিন্তু যারা ভালো কাজ করতে পারবেন, তাদেরকে পেছন থেকে টেনে ধরা হচ্ছে। এরপর শ্রী রামকৃষ্ণের জন্মস্থান কামারপুকুরে গিয়ে শ্রীরামকৃষ্ণের ‘যত মত তত পথ’ এর বাণীকে উদ্ধৃত করে দলকে তিনি যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে ছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনি যে পথে মানুষের ভালো করতে চান, সে পথে যদি অসুবিধা হয়, তবে অন্য পথ খোলা আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর বনমন্ত্রীকে শান্ত করতে ও তাঁকে দলে ধরে রাখতে গত ১৩ ই ডিসেম্বর তৃণমূল দলের মহাসচিব ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এরপর গত ২১ সে ডিসেম্বর দ্বিতীয় বৈঠক হয়েছিল। বৈঠক শেষে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, দলের নেতৃত্ব তাঁকে বৈঠকে ডেকেছেন, তাই তিনি এসেছেন। যে কথা তাঁদের হয়েছে, তা দলের কথা। সে কথা দলের মধ্যেই রাখতে চান তিনি, সংবাদ মাধ্যমে তা জানাতে চান না। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, দ্বিতীয় বৈঠকেও সমস্যার সমাধান হয় নি। এর পর গত ১ লা জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। জেলার অপর বিধায়ক বিধায়ক ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক নেই। সেদিন স্পষ্টভাবে যা দেখা গিয়েছিল।

গতকাল রবিবার বালিতে এক রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, যেসব নেতা কাচের ঘরে বসে অন্যের ঘরে ঢিল ছুড়ে থাকেন, তাদের আগে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখা উচিত। তাঁরা কি ছিলেন, আর আজ তাঁরা কি হয়েছেন? তিনি জানিয়েছেন যে, এ সমস্ত নেতা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবেন না। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, শাসকদল তৃণমূলের বহু কর্মীরা দলের কাছে পাচ্ছেন না যোগ্য সম্মান। এভাবে দলের বিরুদ্ধে আবার মুখ খুলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বনমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করতে দল আবার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে? সেদিকে দৃষ্টি সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!