এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির সাথে দূরত্ব বাড়তেই কি সিবিআইয়ের ডাক পেলেন দুই হেভিওয়েট ! জোর জল্পনা

বিজেপির সাথে দূরত্ব বাড়তেই কি সিবিআইয়ের ডাক পেলেন দুই হেভিওয়েট ! জোর জল্পনা


তৃণমূল ছেড়ে যখন তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন তৃণমূলের একাংশ দাবি তুলেছিল, দুর্নীতি থেকে পিঠ বাঁচাতেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সেই বিজেপি দলের সঙ্গে ঠিকমতো কাজ করতে দেখা যায়নি শোভনবাবুকে। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে বিজেপির সাথে শোভনবাবুর দূরত্বের সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেছিল একাংশ।

এমনকি সম্প্রতি রাজ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এলেও সেই সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি সারা রাজ্য জুড়ে বিজেপির গান্ধী সংকল্প যাত্রার মতো কর্মসূচিতে বিজেপির সমস্ত স্তরের নেতাকর্মীরা পা মেলালেও সেখানে কার্যত উধাও থাকতেই দেখা গেছে রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রীকে।

আর বিজেপিতে যোগ দিয়েও যখন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে বিজেপি কিছু বাড়তি রাজনৈতিক অস্ত্র পাবে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল, ঠিক তখনই সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপির কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ঠিকমতো যুক্ত না হওয়ায় তিনি কি আদৌ বিজেপিতে আছেন, নাকি রাজনৈতিক জীবন থেকে সন্ন্যাস নিতে চলেছেন! তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলের অন্দরমহলে।

এমনকি বেশ কিছুদিন ধরে তাকে খবরের শিরোনামেও দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু এবার ফের খবরের শিরোনামে চলে আসলেন সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে নয়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের ডাকে সিজিও কম্প্লেক্সে হাজির হন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে এখানে উপস্থিত হন তারা। আর দীর্ঘদিন বাদে শোভনবাবুকে ফের রণাঙ্গনে দেখতে পাওয়ায় এবং আশ্চর্যজনক ভাবে সিবিআইয়ের ডাকে সিজিও কম্প্লেক্সে উপস্থিত হতে দেখায় এখন নানা মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিলেও যতদিন গিয়েছে, তার সাথে বিজেপির সম্পর্ক তত খারাপ হয়েছে। বর্তমানে সেইভাবে বিজেপির আর কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে না তাকে। ফলে তিনি বিজেপিতে আছেন, নাকি বিজেপির সাথে দূরত্ব বজায় রাখছেন! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ধন্দ জিইয়ে ছিল।

আর সেইভাবে বিজেপির সাথে কোনো কর্মসূচিতে শোভন চট্টোপাধ্যায় সামিল না হওয়াতেই এবার কি তাকে চাপে ফেলতে পরোক্ষে বিজেপির তরফে সিবিআইকে লেলিয়ে দিয়ে তাকে চাপে ফেলা হল! এখন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সমালোচকদের একাংশ।

তবে সমালোচক মহলের তরফ এই দাবি করা হলেও অনেকে বলছেন, সারদার একাধিক কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স যখন শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতা পৌরসভার মেয়র ছিল, তখন হয়েছিল। সেই ব্যাপারে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে ডাকা হচ্ছে।

পাশাপাশি দক্ষিণ 24 পরগনার একসময় তৃণমূলের জেলা সভাপতি থাকার সুবাদে সেই দক্ষিণ 24 পরগনা থেকেই সারদা সব থেকে বেশি লাভ হওয়ায় সেই ক্ষেত্রে শোভনবাবুর কোনো ভূমিকা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

কিন্তু যে যাই বলুন না কেন, বিজেপিতে যোগ দিয়েও যেভাবে বিজেপির কোনো কর্মসূচীতে ইদানিং দেখা যাচ্ছিল না শোভন চট্টোপাধ্যায়কে, তাতেই কি তাকে চাপে ফেলতে সিবিআইয়ের হাজিরার মুখে ফেলে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়কার প্রিয় কানকে নিজেদের দলের সমস্ত কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিলেন!

বিজেপির দাবি বিজেপি সিবিআই কে নিয়ন্ত্রণ করে না। ফলে তারা তদন্তের প্রয়োজনে কাকে ডাকবে বা কাকে ডাকবে না তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। বিজেপিতে এলেই যে তাদের ধারা যাবে না এমন নয়। কিন্তু তবুও জল্পনা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!