এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি-তৃণমূল সঙ্ঘর্ষে উত্তপ্ত নদীয়ার কৃষ্ণনগর! গুরুতর জখম দুপক্ষের ১১ জন, বাড়ছে উত্তেজনা

বিজেপি-তৃণমূল সঙ্ঘর্ষে উত্তপ্ত নদীয়ার কৃষ্ণনগর! গুরুতর জখম দুপক্ষের ১১ জন, বাড়ছে উত্তেজনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইটি মূলত তৃণমূল ও বিজেপির লড়াইতেই পরিণত হয়েছে। দুটি দলই প্রেস্টিজিয়াস ফাইট হিসেবে দেখছে আগামী নির্বাচনকে। আর আগামী নির্বাচনের ক্রান্তিলগ্নে পশ্চিমবঙ্গে এই দুই দলের কর্মীদের মধ্যে ক্রমাগত বাড়ছে মারামারি, ধস্তাধস্তি, খুনোখুনির মতো ঘটনা। বর্তমানে এই বিষয়গুলি যেন রোজকার বিষয় হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতা দিবোদের দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে দুই দলের মধ্যে বিরাট উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। আবার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে দেখা গেল নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে।

স্থানীয় সংবাদসূত্র অনুযায়ী, গত শুক্রবার রাতে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত নতুন শম্ভূুনগর এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি দুপক্ষের মধ্যে এক তীব্র সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষে দু’পক্ষকেই ধারালো অস্ত্র, বাস, লাঠি নিয়ে পরস্পরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেছে। এই সংঘর্ষে দুদলের মোট ১১ জন আহত হয়েছেন। জানা গেছে আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক।

অন্যদিকে, এলাকায় গন্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শেষপর্যন্ত পুলিশের প্রয়াসেই ঘটনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত মোট তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে, পুলিশের চেষ্টায় গন্ডগোল বন্ধ করা গেলেও এলাকার পরিবেশ এখনো স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে নি। গতকাল রবিবারেও এই এলাকার পরিবেশ ছিল যথেষ্ট রকম থমথমে।এখনো, এলাকার সমস্ত জায়গায় পুলিশ নিযুক্ত করা আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, শম্ভূুনগরে গত শনিবার সংঘর্ষে আহত তৃণমূল কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন কৃষ্ণনগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের কারা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি নিজ দলীয় কর্মীদের পাশে সর্বদা থাকার আশ্বাস দিয়েছেন এদিন।  দুপক্ষের পারস্পরিক এই সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে কৃষ্ণনগর ১ ব্লক দক্ষিনের তৃণমূল সভাপতি কার্তিক ঘোষ বিবৃতি দিয়েছেন, “ওখানে বেশকিছু মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এলাকায় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিজেপির দুষ্কৃতীরা আমাদের সেইসব কর্মীদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। মহিলারাও বাদ যাননি। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।”

অন্যদিকে, নদীয়া জেলা বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাঁদের উপর উত্থাপিত তৃণমূল দলের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করতে দেখা গেছে। বিজেপি দলের নদিয়া জেলার উত্তর সংগঠনের জনৈক নেতা সন্দীপ মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেছেন,  “একটি পারিবারিক গণ্ডগোলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীর উপর আক্রমণ চালায়। তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন।”

প্রসঙ্গত, পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত কিছু অনুসন্ধান করছে পুলিশ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা পুলিশের জনৈক কর্তা বলেছেন, “গ্রামীণ বিবাদ নিয়ে একই পাড়ার মধ্যে একটি গণ্ডগোল হয়েছিল। পরে তাতে রাজনৈতিক রং লাগে। দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারপিট চলে। বেশ কয়েকজনের মাথাও ফেটে গিয়েছে। দু’টি অভিযোগ হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!