এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > করোনা ইস্যুতে বিজেপির হাওয়া কেড়ে নিতে বড়সড় পদক্ষেপের পথে তৃণমূল, বাড়ছে জল্পনা

করোনা ইস্যুতে বিজেপির হাওয়া কেড়ে নিতে বড়সড় পদক্ষেপের পথে তৃণমূল, বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে করোনা এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দূর্যোগ আমপান। এই দুই অবস্থাকে সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফলে বিভিন্ন জায়গায় অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। আর বিজেপির এই লাগাতার প্রচারের ফলে তৃণমূল যে এখন অনেকটাই কোণঠাসা, তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। তাই এই পরিস্থিতিতে এবার দলকে আরও বেশি করে জনমুখী করতে এবং বিজেপির প্রচারকে বন্ধ করতে উদ্যোগী হলেও জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস

। সূত্রের খবর, স্থানীয়দের সমস্যা শুনতে এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে জোর দিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আগামী পৌরসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই তাদের এই কর্মসূচি বলে মনে করছেন একাংশ। ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল সভার উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সংগঠনকে চাঙ্গা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেদিক থেকে তৃণমূল বিজেপির প্রচারের ফলে অনেকটাই পিছিয়ে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থেকে আর যে সময় নষ্ট করা যাবে না, তা বুঝতে পেরেছেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের নেতারা। ফলে তড়িঘড়ি এবার জনসংযোগে জোর দিয়ে ময়দানে নামতে শুরু করলেন তারা।

এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী বলেন, “করোনা এবং ভয়াবহ দুর্যোগের পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষের অবস্থা শোচনীয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ময়দানে নেমে রাজ্যবাসীকে সাহায্য দিচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্র লাগাতার বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করছে। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা মানুষের সমস্যা শুনতে এলাকা পরিদর্শন করছেন। তাদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনছেন। আমরা জেলা থেকে প্রতিটি ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি সহ জনপ্রতিনিধিদের মানুষের কাছে পৌঁছানোর বার্তা দিয়েছি। বিজেপির জনসমর্থন নেই। তাই ওদের ভার্চুয়াল মিটিং করতে হয়।” একইভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে মানুষের পাশে তারা রয়েছেন বলে জানান ময়নাগুড়ি তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী এবং রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা বিজেপির পাল্টা প্রচার করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই জনসংযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, “ভার্চুয়াল মিটিংয়ে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। প্রচুর মানুষ আমাদের এই সভা দেখেছেন, শুনেছেন। এখন করোনা পরিস্থিতিতে আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করছি। আমরা সবসময় মানুষের পাশে আছি। তৃণমূলের পায়ের নিচের মাটি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। তাই এখন বাইরে বেরিয়েছে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত দিন যাচ্ছে, তত নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে। আর নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক দলগুলোর মানুষের কাছে পৌঁছানোর প্রবণতা বাড়ছে। সেদিক থেকে লকডাউনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে যখন বিজেপির পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল সভায় বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই ময়দানে নেমে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে ব্রতী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব মিলিয়ে এখন কোন দলের প্রতি মানুষ সব থেকে বেশি ভরসা রাখেন, কারা মানুষের মন জয় করেন, তা আগামী 2021 এর ভোটবাক্স খোলার পরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!