এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার নীলবাতি লাগানো নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার, বাড়ছে সরকারী অস্বস্তি

এবার নীলবাতি লাগানো নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার, বাড়ছে সরকারী অস্বস্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টভুয়ো ভ্যাক্সিনেশন কান্ড ঘিরে প্রতিদিনই প্রায় নতুন নতুন তথ্যের অবতারণা হচ্ছে। সম্প্রতি কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে, একইসাথে বড় প্রতারণা চক্রেরও পর্দাফাঁস হয়েছে। প্রসঙ্গত, সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এই ভুয়ো ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের পর্দাফাঁস করেন। এরপর তদন্তে নামে রাজ্যের গোয়েন্দারা। তারপরেই সামনে আসে দেবাঞ্জন দেব নামক এক ব্যাক্তি, যে এই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের মূল পান্ডা বলে পরিচিত। প্রসঙ্গত, দেবাঞ্জন দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে আইএএস পরিচয় দিয়ে নিল বাতি লাগানো গাড়ি করে ঘুরে প্রতারণা চালিয়ে গেছেন। আর তাই নিয়েই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।

সবার সামনে দিয়ে দেবাঞ্জন কিভাবে নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ালো? পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বেশকিছু নেতা মন্ত্রীর সঙ্গে দেবাঞ্জনের ছবি নিয়েও শোরগোল শুরু হয়েছে। আর এবার এব্যাপারে কঠোর মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। তিনিও একই প্রশ্ন তুলেছেন নীল বাতি ব্যবহার করা নিয়ে। ইতিমধ্যেই একের পর এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। যার মধ্যে অন্যতম মামলা হলো বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির করা মামলা। বুধবার সেই শুনানিতে বিচারপতি বিন্দল রাজ্য সরকারকে রীতিমতো তিরস্কার করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

আজকে হাইকোর্টের তরফ থেকে কলকাতা পৌরসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। দেবাঞ্জন আইএএস হলেও কি নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরতে পারতেন? সেই এক্তিয়ার কি তাঁর আছে? পাশাপাশি একজন ব্যক্তি পুরসভার যুগ্ম-কমিশনার পরিচয় দিয়ে সর্বত্র ঘুরে বেড়ালেও পুর কমিশনার কিছুই জানতে পারেননি কেন? অন্যদিকে বিচারপতি বিন্দল গাড়িতে নীলবাতির ব্যবহার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি বর্তমানে রাজ্যে কারা কারা নীল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করছেন, তা জানাবার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। একইসাথে দেবাঞ্জন মামলার অগ্রগতি নিয়েও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি বিন্দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এদিন আদালতে জানানো হয়েছে, তথ্য প্রমাণের জন্য আরও কিছু সময়ের প্রয়োজন। তবে আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে মোটরযান আইনে বেশকিছু সংশোধন হয়। তারপর রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, সংসদের সচিব, রাজ্যের advocate-general, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল, রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার, রাজ্যের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এবং দমকল বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের মতন জরুরী পরিষেবার ক্ষেত্রে নীলবাতি ব্যবহার করা যায়।

প্রসঙ্গত বিশেষজ্ঞদের মতে, নীলবাতি ব্যবহার করা নিয়ে বড়োসড়ো প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যে। একইসাথে দেবাঞ্জন দেব ভুয়া পরিচয় নিয়ে কিভাবে দিনের পর দিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প করে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এবং কার্যত এই ঘটনা রাজ্য সরকারের অলিন্দে অস্বস্তির জন্ম দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে মুখ্যমন্ত্রীও কিন্তু ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনায় পুলিশ ও পুরসভার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি দুর্নীতিকে যে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা তাও জানান তিনি। আপাতত হাইকোর্টের জবাবে রাজ্য সরকার কি উত্তর দেয় সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!