গেরুয়া শিবিরের বিধানসভা জয়ের স্বপ্ন কি অধরাই? বিরোধী শিবিরের সভায় জনসমুদ্রে উঠছে প্রশ্ন জাতীয় বিজেপি রাজনীতি October 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন। এবারের নির্বাচন যে যথেষ্ট জমজমাট হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একদিকে নীতীশ কুমারের দল এবং বিজেপি মিলে জোট করে বিরোধী শক্তিকে কুপোকাত করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। আর অন্যদিকে লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব দলের নেতা-কর্মীদের দিয়ে পুরোদস্তুর ময়দানে নেমে পড়েছেন। তবে নীতীশ কুমার এবং বিজেপি একজোট হয়ে লড়াই করলেও, তাকে পাল্টা কুপোকাত করতে উদগ্রীব আরজেডির তেজস্বী যাদব। জানা গেছে, এখন তেজস্বী যাদবের জনসভায় ক্রমশ ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। যার ফলে বিরোধীরা দাবি করছেন, 15 বছরের শাসনে নীতীশ কুমারের আমলে সেভাবে উন্নয়ন হয়নি। তাই মানুষ এখন তেজস্বী যাদবের দল আরজেডির দিকে বেশি পরিমাণে যুক্ত হতে শুরু করেছেন। তবে বিরোধী দলের জনসভায় ভিড় হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশের মতে, কিছুদিন আগেই করোনা ভাইরাস এবং তাকে কেন্দ্র করে লকডাউনের জন্য পরিযায়ী শ্রমিকরা ভীষণ বিপদে পড়েছিলেন। আর সেই সমস্ত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায়নি এখানকার সরকার বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই বিরোধীরা নীতীশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকে কাজে লাগিয়ে এখন ব্যাপক প্রচার করতে শুরু করেছে আর তার ফলেই পরিচয় শ্রমিকদের ক্ষোভ সেই সরকারের দিকে যাবে বলে মনে করছে একাংশ। আর তার জেরেই লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদবের জনসভায় ভিড় হচ্ছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। আরজেডির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে লালুপ্রসাদ যাদব আইনী জটিলতার কারণে নির্বাচনী প্রচারে নামতে পারবেন না। কিন্তু তার পুত্রের জনসভায় যেভাবে ভিড় হচ্ছে, তাতে তিনি অনেকটাই খুশি। আর এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, বর্তমান নীতীশ কুমারের সরকারের প্রতি রাজ্যবাসীর আর সেভাবে আস্থা নেই। তাই এবারের নির্বাচনে বড়সড় পরিবর্তন হতে পারে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে নিজের জনসভাতে এত বিপুল মানুষের জমায়েত দেখে রীতিমত আত্মপ্রত্যয়ী তেজস্বী যাদব। এদিন একটি টুইট করে তিনি বলেন, “মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিলেন। গত 15 বছরের শাসনে বিহার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মানুষ এখন উন্নয়ন আর চাকরি চাইছেন। সে জন্যই জনসভাগুলোতে এসে আমাদের কথা তারা শুনতে চাইছেন।” তবে তেজস্বী যাদব জনসভার মধ্যে দিয়ে নীতীশ কুমারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেও তাকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন নীতীশ কুমার। এদিন তিনি বলেন, “বেতন দেওয়ার টাকা কোথা থেকে আসবে! যে কেলেঙ্কারি করে জেলে গিয়েছেন, সেখান থেকেই টাকা আসবে? আপনি জালনোট ছাপাবেন নাকি?” অর্থাৎ লালুপ্রসাদ যাদব এবং তার পুত্রকে কটাক্ষ করে এদিন দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে দেখা যায় নীতীশ কুমারকে। যার পাল্টা জবাব দিয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব। এদিন তিনি বলেন, “আমি উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। এতটা অনভিজ্ঞ হলে কুড়িটা হেলিকপ্টার নিয়ে বিজেপি নেতার পেছনে ছুটে বেড়াচ্ছেন কেন? 15 বছর সরকার চালানোর পরে উনি বলছেন, টাকা কোথায়! বিহারের বাজেটে সাড়ে চার লক্ষ সরকারি চাকরি খালি পড়ে থাকার কথা রয়েছে। আর নীতি আয়োগ বলছে, বিহারের উন্নয়নের জন্য আরও সাড়ে পাঁচ লক্ষ চাকরি প্রয়োজন।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা পরিস্থিতি যে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, এবারে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে শাসক-বিরোধী টক্কর চরম আকার ধারণ করতে পারে। লালুপ্রসাদ যাদব না থাকলেও তার পুত্র যেভাবে দলের হয়ে ময়দানে নামছেন এবং সেখানে যেভাবে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে অনেকটাই উজ্জীবিত আরজেডি নেতৃত্ব। এখন বিজেপি এবং নীতীশ কুমারের জোটকে অস্বস্তিতে ফেলে আরজেডি কতটা নিজেদের সাফল্য ধরে রাখতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -