এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ক্ষমতার অঙ্গুলীহেলনে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি গেল, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

ক্ষমতার অঙ্গুলীহেলনে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি গেল, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনৈতিক ক্ষমতার অলিন্দে থাকা বেশ কিছু তৃণমূল নেতা কিংবা তাঁর ঘনিষ্ঠরা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সুযোগ নেন কিংবা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অরাজকতা তৈরি করেন বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে। কার্যত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এ ধরনের কাজ করতে বারবার বারণ করেছেন দলের প্রত্যেককে। কিন্তু তার বারণ করাই সার। একাধিকবার এ ধরনের কাজের অভিযোগ এসেছে সামনে। আর এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীও তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার ছেলের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জানালেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব থেকেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

কার্যত বলরাম সাহা নামক এক ব্যক্তি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। চার নম্বর গেটে তিনি থাকতেন। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে চাকরি করার পর মাস দুয়েক আগে চাকরি চলে যায় তাঁর। এক্ষেত্রে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের অঙ্গুলিহেলনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রসঙ্গত জানা গেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে এতদিন নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন বলরাম সাহা। মে মাসের 14 তারিখে গভীর রাতে গাড়ি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করতে চান। গেট খুলতে কিছুক্ষণ দেরি হওয়ার কারণে নিরাপত্তারক্ষী বলরাম সাহার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই যুবক।

এ ঘটনার পর যাদবপুরের চাকরি ছেড়ে দেন নিরাপত্তারক্ষী বলরাম সাহা। তিনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ পেয়েছিলেন, সেই এজেন্সির মাধ্যমে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরিতে বহাল হন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর এজেন্সির কর্মকর্তারাই তাঁকে বিদায় নিতে বলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই রলরামবাবু অনুমান করেন, শাসক দলের নেতার অঙ্গুলিহেলনেই তাঁর সাথে অন্যায় করেছেন এজেন্সির কর্মকর্তারা। আর তারপরেই কোমর বেঁধে প্রতিবাদ করতে নেমে পড়েন বলরামবাবু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে চিঠি লেখেন। ফলস্বরূপ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁকে আবারও চাকরিতে পুনর্বহালের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এবার আর শুধুমাত্র আশ্বাসে চিঁড়ে ভেজেনি। বলরামবাবু দাবি করেছেন, আহে সঠিক বিচার করতে হবে তাঁর সাথে হওয়া অন্যায়ের। এবং তিনি আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নন, অন্যত্র কাজ চান। অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা বিনয় সিং জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর ছেলে জড়িত নয়। অন্যদিকে ঘটনার খবর পৌঁছে গেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কানে। যথারীতি তাঁরাও কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা রাজ্যের তৃণমূল শিবিরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে, যা অত্যন্ত অস্বস্তিজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিভাবে বিচার পান বলরাম সাহা, সে দিকেই নজর থাকছে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!