এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতা-বিরোধী হতে চাইলেও হাইকমান্ডের নির্দেশে বড় ফাপরে প্রদেশ কংগ্রেস, জোর শোরগোল

মমতা-বিরোধী হতে চাইলেও হাইকমান্ডের নির্দেশে বড় ফাপরে প্রদেশ কংগ্রেস, জোর শোরগোল


 

এবার যেন উভয় সংকটে পড়লে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিরোধিতা করে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

এই পরিস্থিতিতে বাংলায় বামেদের হাত ধরে পথ চলে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলা প্রদেশ কংগ্রেস ঠিক কি করবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিড়ম্বনা। যদি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে, তাহলে বাংলায় আপামর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করার সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নান ও অধীর চৌধুরীর স্ট্যান্ড পয়েন্ট কী হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

বস্তুত, বাংলায় বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলকেও বিরোধী হিসেবে ধরে নিয়ে বামেদের সঙ্গে জোট করে পথ চলতে শুরু করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। তৃণমূল এবং বিজেপির বিরোধিতায় প্রায় এক সুরেই কথা বলছেন অধীর চৌধুরী, আব্দুল মান্নান এবং সোমেন মিত্ররা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই বিরোধিতা করার সাহস কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছ থেকেই পেয়েছেন। বিভিন্ন সময় বাংলার কংগ্রেস নেতারা তার কাছে দরবার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিরোধিতা করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। সেইমতো রাহুল গান্ধীর সবুজ সংকেত পেয়ে বাংলায় বামেদের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস নেতৃত্ব পথ চলেছিল।

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে এককাট্টা হতে শুরু করেছে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেত্রীর সখ্যতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে একাংশ। তাই এই পরিস্থিতিতে আগাগোড়া তৃণমূলের বিরোধীতা করা প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন মিত্র।

প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও, যদি তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করতে হয়, তাহলে রাজ্য কংগ্রেসের অস্তিত্ব যতটুকু রয়েছে, তাও হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন এই রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে বিজেপি বিরোধিতায় কথা হয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর। এমনকি ঝাড়খন্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে।

যা দেখে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন বাংলার কংগ্রেস নেতারা। কেননা যদি তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সখ্যতা তৈরি হয়, তাহলে বাংলার কংগ্রেস নেতারা অত্যন্ত বিপদে পড়বেন। কেননা তারা প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিরোধিতা করেছে। সেক্ষেত্রে দলের নির্দেশ যেমন বাংলার কংগ্রেস নেতাদের মানতে হবে, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পথ চলে তাদের ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। ফলে এখন শ্যাম এবং কোন রাখতে বাংলার কংগ্রেস নেতারা ঠিক কোন পদ্ধতি অবলম্বন করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!