কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে বামেরা, কেন্দ্রবিরোধী হলেও ধর্মঘট কি মানবে মমতা! সাঁড়াশি চাপে তৃণমূল কলকাতা রাজ্য January 4, 2020 প্রায় বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব হতে দেখা যায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি থেকে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে পড়া, কেন্দ্রের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে নিজের দলকে রাস্তায় নামিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বর্তমানে নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব হতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু বিজেপি বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হলেও, মাঝেমধ্যেই বঙ্গ সিপিএম ও বঙ্গ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরের বন্ধু। তাই ওপরে তারা একে অপরের বিরোধিতা করলেও, তাদের মধ্যে সমঝোতা রয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই! তৃণমূলের তরফে বারবার সেই অভিযোগকে অস্বীকার করা হলেও, রাজনীতিতে কিছু কিছু সময় অগ্নি পরীক্ষা দিতে হয়। সেদিক থেকে আপামর বিজেপির বিরোধিতা করা তৃণমূল কংগ্রেস এবার সেই বিজেপির নীতি নিয়ে বিরোধিতায় নামা শ্রমিক সংগঠনগুলোর ধর্মঘট সমর্থন করবে কিনা, সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। বস্তুত, আগামী 8 জানুয়ারি কেন্দ্রের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে সারা দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। যেখানে সমর্থন করছে রাজ্যের বাম এবং কংগ্রেস। কেন্দ্রের বিরোধিতা করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধর্মঘটকে যদি সমর্থন না করেন, তাহলে তার সাথে বিজেপির আঁতাত রয়েছে বলে দাবি করতে অনেকটাই সুবিধা হবে বাম এবং কংগ্রেসের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছে তারা। তবে 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার ধর্মঘটের বিরুদ্ধে মত পোষণ করতে দেখা গেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। যত বার ধর্মঘট হয়েছে, ততবারই সেই ধর্মঘটকে মোকাবিলা করতে রাস্তায় নেমেছে প্রশাসন। তবে এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে জানানো হয়েছে শাসকদলের তরফ থেকে। ফলে এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির আঁতাত রয়েছে বলে দাবি করে তৃণমূলকে সাঁড়াশি চাপে ফেলতে তৎপর হলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। সূত্রের খবর, শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “দেশের শ্রমজীবী মানুষের 365 দিনের রুটি-রুজির স্বার্থে অসংখ্য গণসংগঠন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একদিনের এই সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে। সারাদেশের সঙ্গে রাজ্যেও ধর্মঘট হবে। আর ওইদিন সবথেকে বড় পরীক্ষার মুখে পড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিনই ফয়সালা হয়ে যাবে, উনি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ঢাল হিসেবে এখানে কাজ করছেন কিনা! বাংলার মানুষ এবার সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, সূর্যকান্ত মিশ্রের এই কথার মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার, তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রবল ভাবে চাপে ফেলতে চাইছেন। কেননা নিজেদের ধর্মঘটকে সফল করতে বামেরা যেমন উদ্যোগী হয়েছে, ঠিক তেমনই রাজ্য প্রশাসন যাতে সেই ধর্মঘটে বাধা না দেয়, তার জন্য তৃণমূলের ওপর এই চাপ সৃষ্টি করেছেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল এই ধর্মঘটে সমর্থন করবে না বলেই মনে করছে একাংশ। ফলে সেদিক থেকে বামেরা তৃণমূলকে বিজেপির দোসর বলে অভিযোগ করে সরব হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বামেদের এই অভিযোগ কতটা সারবত্তা পাবে, এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -