এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > মণীশ শুক্ল খুন নিয়ে বিজেপির পাশে অধীর চৌধুরী, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে তীব্র আক্রমণ !

মণীশ শুক্ল খুন নিয়ে বিজেপির পাশে অধীর চৌধুরী, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে তীব্র আক্রমণ !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত রবিবার আততায়ীর গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর দেহ। রবিবার রাত আটটার সময় টিটাগরে বি টি রোডের ধারে বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। এক ডজনেরও বেশি গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তাঁর দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি নেতার শরীরের ১৪ টি বুলেটের ক্ষত ছিল। তদন্তকারীদের অনুমান তাঁকে ৭ এমএম পিস্তল পিস্তল দিয়ে গুলি করা হয়েছিল।
বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর হত্যার এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেল রাজ্য রাজনীতিতে। গতকাল বিজেপি নেতার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর তা নিয়ে রাজভবনের দিকে রওনা হলেন বিজেপি নেতারা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যাবেলা ধর্মতলা ভরে গেল বিজেপি নেতাদের ভিড়ে।

গতকাল সোমবার দুপুরে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডিকে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর হত্যার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল। গত সোমবার তাঁর হত্যার ঘটনার তদন্তে নেমে সিআইডির আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেই এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ ও কিছু তথ্য দেখে দুটি বাইককে চিহ্নিত করা হয়। গতকাল রাতে আটক করা হয় সন্দেহভাজন মহম্মদ খুররম ও পেশাদার শুটার গুলাব শেখকে।

পুলিশের দাবি, পুরোনো শত্রুদের কারণেই মহম্মদ খুররম বিজেপি নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। মহম্মদ খুররম এর সঙ্গে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর দীর্ঘকালের শত্রুতা ছিল।পুলিশ এই খুনের ঘটনার মধ্যে কোন রাজনীতির গন্ধ খুঁজে পায়নি। তবে, পুলিশের এই দাবি মেনে নিতে নারাজ একাধিক বিরোধী শিবির।

এ প্রসঙ্গে বিরোধীদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে বাংলায় কায়েম হয়েছে জঙ্গল রাজ। গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে মুছে গিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের যিনি বিরোধিতা করবেন, তাঁকে প্রথমে টাকার লোভ দেখানো হয়, অথবা ভয় দেখিয়ে তাঁকে তৃণমূল দলে টানার চেষ্টা করা হয়। সে কাজে ব্যর্থ হলে তাঁকে একবারে ইহজগতে থেকেই সরিয়ে দেয়া হয়। এমন নিয়মেই চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনটাই বিরোধীদের অভিযোগ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ বিষয়ে পর্যবেক্ষকদের মতামত, রাজনৈতিক হিংসার বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কোনো নতুন ব্যাপার নয়। বহু পূর্ব থেকেই যা চলে আসছে। ষাটের দশকের পর থেকে একাধিকবার শাসনরাজ বদলেছে, কিন্তু বন্ধ হয়নি খুনের রাজনীতি। তবে, সম্প্রতি একটি নতুন বিষয় এসেছে, যা হল সুপারি কিলার ব্যবহার করে রাজনীতির কারবারিদের হত্যা। যা ইতিপূর্বে এ রাজ্যে ছিল না।

বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর হত্যাকাণ্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগোড়ায় তুলেছে বিজেপি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় যেমন সরব, তেমনি সরব বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সম্প্রতি মণীশ শুক্লর হত্যাকান্ড বিষয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক সমালোচনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি একাধিক বিষেদাগার করলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়ে তিনি বললেন, ” বাংলায় রাজনৈতিক খুন বন্ধ হোক। বিরোধী মানে প্রতিপক্ষ। শত্রু নয়।” এরপরেই বাড়ালেন তিনি বক্তব্যের ঝাঁঝ। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অভিযোগ করে তিনি বললেন যে, মুখ্যমন্ত্রী তো বলেন যে তিনি বদলা নয়, বদল চান। কিন্তু নিজের কথা কি নিজেই ভুলে গেছেন তিনি? মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দিদিভাই’ বলে সম্মোধন করে তিনি বললেন যে, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে তিনি আরও বললেন যে, ‘ডেমোক্রেসির’ পরিবর্তে বাংলায় চলছে ‘মমতা ক্রেসি’, যার অপর নাম হল ‘অটোক্রেসি’

এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরী জানালেন, ” থানার সামনে বিজেপি নেতার খুন নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে এবং উঠবে। দিদি, আপনি চাইলে খুনি ধরা পড়বে আর না চাইলে গ্রেফতার হয়তো হবে কিন্তু প্রকৃত খুনি ধরা পড়বে না। সিআইডি, পুলিশ কারও ক্ষমতা নেই আপনার কথার বাইরে গিয়ে তদন্ত করার। দিদির দালালরা আজ হ্যাঁ কে না করতে বাজারে নেমে গেছেন! “

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!