প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারীকে সকাল থেকেই দাবি করতে দেখা যাচ্ছে, নন্দীগ্রামে এবার ভারতীয় জনতা পার্টি জিতছে। কিন্তু সেভাবে সকাল থেকে রেয়াপাড়ার বাড়ির বাইরে কোনো বুথে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি এখানকার তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উল্টে গন্ডগোলের খবর পেয়ে বয়ালের সাত নম্বর বুথে গিয়ে রাজ্যপাল এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

যার ফলে বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার ভয়ে এখন এইসব অভিযোগ করতে শুরু করেছেন। তবে সত্যিই কি তিনি আতঙ্কিত? তাহলে কি তিনি উপলব্ধি করেছেন যে, এখানে তৃণমূল কংগ্রেস চাপের মুখে রয়েছে? আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলছেন! নানা মহলে যখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তখন নিজের মনের কথা প্রকাশ করলেন নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম নিয়ে তার চিন্তা না থাকলেও গণতন্ত্র নিয়ে তার চিন্তা রয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।

সূত্রের খবর, এদিন বয়ালের 7 নম্বর বুথে দুই ঘন্টা থাকার পর বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই জয়লাভের ব্যাপারে কতটা নিশ্চিত! এই ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আমি চিন্তিত নই। এখানে আমি মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদে জিতব। 90 শতাংশ ভোট পাব। আমি চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দোষ দিচ্ছি না। ওরা নির্দেশ মত কাজ করছে। আর ওদের নির্দেশ দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।”

অর্থাৎ বিরোধীদের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার ভয়ে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন বলে অভিযোগ করা হলেও, তিনি যে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন, তা বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। বিশ্লেষকদের একাংশ বলেছেন, শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামে কে জয়লাভ করবে, তা দেখার বিষয়। অতীতে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেভাবে কোনো নির্বাচন নিয়ে এইরূপ অভিযোগ করতে দেখা যায়নি। কিন্তু এবার যেন ঘটনা সত্যিই বেনোজির হয়ে দাঁড়াল।

তার মত হেভিওয়েট তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে যেভাবে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে ময়দানে নামতে দেখা গেল, তা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তার ফলেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হওয়ার ভয়ে এখন এই অভিযোগ করতে শুরু করেছেন। তবে তার জয়লাভ যে কার্যত নিশ্চিত, তা শেষ মুহূর্তে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী।

কিন্তু একদিকে শুভেন্দু অধিকারী নিজের জয়ের ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী এবং অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 90 শতাংশ ভোটে জিতে আছেন বলে যে দাবি করলেন, তাতে কার দাবি সত্যি হয়, তা ভোটের ফলাফলের দিনেই প্রমাণিত হয়ে যাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।