এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কোরোনার থাবা বসলো এবার সিনেমা হলেও, ব্যাপক ক্ষতির মুখে বন্ধ হলো সিনেমা হল

কোরোনার থাবা বসলো এবার সিনেমা হলেও, ব্যাপক ক্ষতির মুখে বন্ধ হলো সিনেমা হল


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করো না আমাদের জীবনের অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে। জীবনের সবটুকু আনন্দ আজ করোনার কারণে আশঙ্কিত। পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যও এবার বন্ধ হতে চলেছে। লকডাউনের পর আনলক পর্বে পুজোর আগে খুলে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের সিনেমা হলগুলি। 50% দর্শক নিয়ে করোনা বিধি মেনে সিনেমা হল চালানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কার্যত এই নির্দেশ মেনে হল চালাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে হল মালিকদের। আর তাই এবার একযোগে রাজ্যের বেশ কয়েকটি হল বন্ধ হয়ে গেল। তবে এর পেছনে ওটিটির জনপ্রিয়তাও অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। নেকেই দাবী করেন, ওটিটি তে অনেক ভালো কনটেন্ট দেখতে পাওয়া যায়।

এতদিন পর্যন্ত দেখা গিয়েছে প্রত্যেক শুক্রবার হিন্দি, বাংলা নির্বিশেষে ছবি মুক্তি পেতো এবং সেই ছবি দেখার জন্য হলের সামনে লম্বা লাইন। কিন্তু এখন তো সেসব নেই। হিন্দি ছবির মুক্তি তো কবে থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে, পাশাপাশি বাংলা ছবিও যে গুটিকতক মুক্তি পাচ্ছে, তা দেখার জন্য কার্যত লোকের অভাব। আর তাই এবার বেশ কয়েকটি সিনেমা হল খুলেও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন হল মালিকরা। জানা গিয়েছে, প্রিয়া, প্রাচি, মেনকা সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেল। এ ছাড়াও জয়া, অশোকা, ইন্দিরাও বন্ধ হয়ে গেল। বারাসাতের ডাকবাংলো, দুর্গাপুরের বায়োস্কোপের মালিক হাত তুলে নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে প্রিয়া সিনেমার মালিক অরিজিৎ দত্ত আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে পরিস্থিতি চলছে তা আর নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। হাতে গুনে প্রত্যেকদিন হয়তো চার থেকে পাঁচজন ছবি দেখতে আসছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এত বড় ব্যবসা এভাবে চালানো সম্ভব নয়। সিনেমা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যেসব প্রযোজনা সংস্থার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, তাঁরা সেখানে তাঁদের ছবি রিলিজ করে দিচ্ছে। কিন্তু যাদের সে সুযোগ নেই, তাঁদের কিন্তু নির্ভর করতে হচ্ছে হলের ওপর। কিন্তু পরিস্থিতি এমন অবস্থায় রয়েছে, যেখানে হলমুখো আর হচ্ছেন না দর্শকরা। আর তাই এরকম সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তবে অনেকেই মনে করছেন, ভ্যাকসিন চলে আসলে আবারও আগের ছবি দেখা যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে শুধুমাত্র বাংলা ছবি দিয়ে হল চালানো মুশকিল বলেই দাবি করছেন অনেকে। যদিও নবীনার মতন অনেক হল মালিক জানিয়েছেন, ব্যবসায় লাভ ক্ষতি থাকবেই। তাই বলে হল বন্ধ করে দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক নয়। এতদিন ব্যবসা তো ভালোই চলছিলো। সাময়িক ক্ষতির জন্য ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া কোন কাজের কথা নয়। গত 15 ই অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খোলার জন্য অনুমতি দিয়েছিল সরকার। পুজোর আগে হলগুলিতে ভিড়ও হয়েছিল যথাযথ। কিন্তু পুজো মিটতেই ছবি অন্য। হলমুখো আর কেউ হচ্ছেন না। জেলাতে তো অনেকগুলি হল রয়েছে, যেগুলো মার্চ মাসের সময় বন্ধ হয়েছে, এখনো খোলেনি।

কিন্তু কলকাতা এবং শহরতলীর যে হলগুলি আনলক পর্বে খুলেছিল, এবার সেগুলিও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ হয়ে গেল। বলা ভাল বন্ধ করতে হল মালিকরা বাধ্য হল। তবে সিনেমা বিশেষজ্ঞদের মতে, হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতির বদল আসবে, আর তখন হল মালিকরা আবার ব্যবসায় লক্ষ্মী লাভ করবেন। তবে এই মুহূর্তে দর্শকরা পুরোপুরি ঘরে বসে মন দিয়েছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। আর তাই ওয়েব এর জনপ্রিয়তা হলমুখী দর্শককে দূরে সরিয়ে নেওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!