এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > শহরে আবারও ধরা পড়লো জাল প্রতারকদের দল, নাম জড়িয়েছে মানবাধিকার কমিশনের

শহরে আবারও ধরা পড়লো জাল প্রতারকদের দল, নাম জড়িয়েছে মানবাধিকার কমিশনের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টআবারও একটি প্রতারণার ঘটনা রাজ্যে। বেশ কিছুদিন যাবৎ একাধিক প্রতারণা কান্ড ধরা পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে।  বিভিন্ন সময়ে প্রতারকরা নিজেদের পরিচয় দিয়েছে কখনো আইএএস অফিসার বলে, কখনো পুলিশ কর্তার মেয়ে বলে। আর এসব কথাতেই বিশ্বাস করে ঠকে যান সাধারন মানুষরা। প্রসঙ্গত, ভুয়া টিকাকরণ কান্ডে দেবাঞ্জন দেব নামক প্রতারক ধরা পড়ায় রাজ্যজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আর তারপর থেকেই একের পর এক প্রতারক ধরা পড়ছে। এবার আন্তর্জাতিক হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান বলে ধরা পরল এক প্রতারক। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়।

কার্যত প্রতারক সহ একাধিক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে নিউটাউন থানার পুলিশের হাতে। জানা গিয়েছে, ভুয়ো হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন তারক মন্ডল নামক এক প্রতারক। আন্তর্জাতিক হিউমান রাইটস কমিশনের লোগো লাগানো গাড়ির চালক হল সত্যেন্দ্রনাথ যাদব যে আদতে বিহারের বাসিন্দা। একই সঙ্গে ওই গাড়িতে তারক মন্ডলের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে থাকা দুই জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গিয়েছে। যারা শ্রমিকের কাজ করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি হিউম্যান রাইটস লোগো লাগানো চারচাকা গাড়িটিকেও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে নিউটাউন নারকেলবাগান মোড়ে টহলরত পুলিশের নজরে আসে একটি হিউম্যান রাইটস কমিশন এর লোগো লাগানো গাড়ি। তারপরেই পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটিকে আটকায় তাঁরা। এরপর বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হলে আটক ব্যক্তিরা তা দেখাতে পারেনি। সাথে সাথেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এরপরেই পুলিশের কাছে পরিষ্কার হয় এটি একটি প্রতারণা চক্র। কার্যত জানা গিয়েছে, একটি ইনোভা গাড়িতে আন্তর্জাতিক হিউম্যান রাইটস কমিশনের লোগো লাগিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতেন তারক মন্ডল নামক নিউটাউনের এক বাসিন্দা। জানা গেছে, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে সমস্যায় পড়েছেন এমন মানুষ খুঁজে বার করত এই দলটি।

এরপর তাঁদের সমস্যা মিটিয়ে দেবার আশ্বাস দিয়ে টাকা আদায় করতো প্রতারকরা। সেক্ষেত্রে পুলিশি সমস্যা বা প্রমোটিং সংক্রান্ত সমস্যা যাই হোক না কেন, সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার মূল্য হিসেবে টাকা দিতে হতো তারক মন্ডলকে। আর এভাবে তারক মন্ডল শহরজুড়ে প্রতারণা চক্র তৈরি করেছিল। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া প্রত্যেককে বারাসত আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ। আপাতত এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারোর যোগাযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে এই ঘটনা আবারো প্রমাণ করলো কলকাতাজুড়ে এখনও বহাল তবীয়তে চলছে প্রতারণা চক্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!