নির্বাচনের দামামা বাজার অনেক আগে থেকেই যে সমস্ত কেন্দ্রে নির্বাচন হবে, সেখানে যাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করা যায় তার জন্য কমিশনের কাছে আর্জি জানাতে দেখা গেছে বিরোধীদের। এমনকি যতগুলো দফায় রাজ্যে এখনও পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে, তার প্রায় প্রতি দফাতেই সন্ত্রাস হয়েছে বলে দাবি করতে দেখা গেছে বিরোধীদের।

এমনকি অনেক ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দল বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন তাদের দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করছে বলেও সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। আর এবার ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচনের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ ঢাকা অবস্থায় অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সহ দাঁড়িয়ে থাকা একদল লোকের ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়াতে তুমুল বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ল।

জানা গেছে, এই ভিডিওটি বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর এলাকার। বিরোধীদের অভিযোগ, আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির নেতৃত্বে একদল বহিরাগত দুষ্কৃতী সেখান থেকে বাঁকুড়ায় ঢোকার প্রস্তুতি নিয়েছিল।এমনকি আগেভাগেই এই ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে শনিবারই নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছিলেন আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়।

আর রবিবার এইরকম বহিরাগত কিছু মুখ ঢাকা ব্যক্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় বিজেপির সেই অভিযোগেই সিলমোহর বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। কেন এসেছেন তারা? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই যুবকেরা জানান, ভোট করতে তাদের এই রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কোন রাজনৈতিক দলের তরফে তাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছে, সেই ব্যাপারে কিছু জানাননি এই অজ্ঞাত পরিচয় যুবকেরা। তাহলে কি বিজেপির অভিযোগকে সত্যি করে তৃণমূলই ভোটের দিন পুরুলিয়া এই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের প্রবেশ করালো?

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল দলের কোনো যোগ নেই।” তবে বিজেপির তরফ অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, বর্তমানে জঙ্গিদের মুক্তাঙ্গনে পরিণত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আর তাইতো সেই জঙ্গিদের সাহায্য নিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের এনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করার জন্য শাসকদলের পক্ষ থেকেই এই দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ভোটের দিন মুখ ঢাকা, হাতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সহকারে কিছু যুবকদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল।