এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নয়া ভাবনা বামেদের, জারি হতে চলেছে বড়সড় নির্দেশিকা!

সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নয়া ভাবনা বামেদের, জারি হতে চলেছে বড়সড় নির্দেশিকা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সারা রাজ্যের মধ্যে বামেদের একমাত্র সবেধন নীলমণি বলে পরিচিত কেরালা। একমাত্র এই রাজ্যেই ক্ষমতা দখলে রেখেছে সিপিএম। সদ্য সমাপ্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। যে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম 34 বছর ক্ষমতায় ছিল, সেই বাংলায় এবার একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি তারা। যার ফলে বাংলা তো বটেই, সর্বভারতীয় স্তরেও সিপিএমের গ্রহণযোগ্যতা যে কার্যত প্রশ্নের মুখে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বাংলাতে সিপিএমের ভরাডুবি হওয়ার পরেই একের পর এক নেতার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হওয়ার ঘটনা কার্যত চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে বাম নেতৃত্বকে।

শুধু বাংলা নয়, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এমন অনেক রাজ্যের এমন অনেক সিপিএম নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যা দলকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। তাই এখন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার ক্ষেত্রে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়ে লাগাম টানার ব্যবস্থা করছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই আগামী কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এই ব্যাপারে বড়সড় নির্দেশিকা জারি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, সিপিএম নেতৃত্ব বর্তমানে দলকে আরও শক্তিশালী করার জন্য একাধিক জনমুখী পরিকল্পনা নিতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে বাংলায় বিশেষত করোনা পরিস্থিতির সময় রেড ভলেন্টিয়ার্স নাম দিয়ে সিপিএমের ছাত্র এবং যুব সংগঠনের সদস্যরা সাধারণ মানুষকে সাহায্য করছেন। কিন্তু এই সমস্ত করেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। বাংলার মানুষ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের। এদিকে দলের এই বিপুল ভরাডুবি হওয়ার পরেই একের পর এক নেতা প্রকাশ্যে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা সিপিএমের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই দলীয় স্তরে অনেককে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও চিন্তায় রয়েছে বাম নেতৃত্ব। আগামীদিনে ভরাডুবি যদি এই গতিতে চলতে থাকে, তাহলে সমান্তরালভাবে যদি একাধিক নেতা বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, তবে দল আরও চাপের মুখে পড়ে যাবে। তাই এখন থেকেই এই ব্যাপারে নজর দিয়ে যাতে ভবিষ্যতে সচেতন হওয়া যায়, তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে বামেরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, একেই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বামেদের। আগামী দিনে জাতীয় স্তরে তারা কতটা গুরুত্ব পাবে, তা অবশ্যই বড় প্রশ্নের বিষয়। তাই এই পরিস্থিতিতে যদি দলের নেতা-নেত্রীদের সংগঠন থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, তাহলে রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে আরও চাপের মুখে পড়ে যাবে বাম নেতৃত্ব। তাই এখন থেকেই এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি। আর সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা থেকে শুরু করে নেতাদের বিবৃতি নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, এই ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত কি পদক্ষেপ নেয় বামেরা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!