এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য সরকারের ঘুম উড়িয়ে রাজ্যপালের কাছে বড়সড় অভিযোগ নিয়ে আজ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ

রাজ্য সরকারের ঘুম উড়িয়ে রাজ্যপালের কাছে বড়সড় অভিযোগ নিয়ে আজ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ

ফের বকেয়া ডিএ আদায়ের দাবীতে রাজ্যসরকারকে চাপে ফেলতে ময়দানে নামল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আরো একবার উক্ত ইস্যুতে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চলেছে তাঁরা। এই বকেয়া ডিএ আদায়ের দাবী নিয়েই প্রায় মাসখানেক আগে নবান্ন অভিযান করেছিলেন কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা।

ওই অভিযানের পর থেকেই নাকি অনেকেরই বলদির অর্ডার আসতে শুরু করে। বামপন্থী কর্মচারী সংগঠনের প্রায় ১৫ জন সদস্যকে এভাবে বলদির করা হয়,এমনটাই অভিযোগ। বিরোধী কর্মী সংগঠনের প্রতিি রাজ্যসরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতেই রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর দোরগোড়ায় হাজির হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রতিনিধিরা।

শাসকদলের সহযোগীতার পরিবর্তে প্রতিহিংসামূলক আচরণের বিষয়েই জানানোর অভিপ্রায়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,এমনটাই জানালেন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর।

গত ২৯ নভেম্বর বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবী তুলে বিজয় শংকর সিংহের নেতৃত্বে নবান্ন অভিযানে সামিল হয়েছিলেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সেদিন যাত্রাপথেই তাঁদের বাধা দেয় রাজ্যপুলিশ। এমনকি অনেককেই সেদিন গ্রেফতারও করা হয়েছিল।

এছাড়া নবান্ন অভিযানের পরেরদিন থেকেই তাঁদের বদলির অর্ডারও আসতে শুরু করে। বামপন্থী সংগঠনের প্রায় ১৫ জনকে অন্যত্র বদলি করা হয়। এমনকি রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহকেও বদলি করে দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওদিকে বিজয়বাবু উত্তরকন্যায় কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন ওখানে খাদ্য দপ্তরের কোনো শাখা নেই৷ এদিকে প্রযুক্তি দপ্তরের রিলিজ অর্ডার পান তিনি। শুধুমাত্র বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবী করার জন্য রাজ্যসরকার যে ধরণের অসহযোগী আচরণ করছে তা একান্তই তাঁদের প্রতিহিংসামূলক মনোভাবেরই নামান্তর। এমনটা জানাতেই এবং এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই ফের রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরা।

উল্লেখ্য,বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া মহার্ঘভাতা সহ ১২ দফার দাবী তুলে গত মাসে একদিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন (নবপর্যায়)-এর কয়েক হাজার সদস্য। ধর্মতলার লেনিনমূর্তি সংলগ্ন পার্কে জমায়েতের ডাক দিয়েছিল তাঁরা। সেখান থেকে কর্মচারী সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল পদযাত্রা করে রাজভবনে গিয়ে নিজেদের সমস্ত দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

রাজ্যপাল এ ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দিলেও সে প্রতিশ্রুতি পূরণ হল না। বরং সেই ধর্মঘটের মাসখানেক পেরোতে না পেরোতেই এই সংক্রান্ত নতুন সমস্যা তৈরি হল। সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটানো তো দূরের কথা আন্দোলনকারী কর্মীদের দূরে বদলি করার ফতোয়া জারি করা শুরু করেছে রাজ্যসরকার। প্রশাসনের এধরণের অসংবেদনশীল আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই ফের রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করল সরকারি কর্মচারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!