এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “শুধুমাত্র পদের জন্য রাজনীতি গণতন্ত্রের পক্ষে সুস্থ রাজনীতি নয়।” – বিস্ফোরক রাজ্য বিজেপি নেতা

“শুধুমাত্র পদের জন্য রাজনীতি গণতন্ত্রের পক্ষে সুস্থ রাজনীতি নয়।” – বিস্ফোরক রাজ্য বিজেপি নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হঠাৎ দলবদল করলেন বাবুল সুপ্রিয়। যা উপ নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের একটি বড় আঘাত বলে, রাজনৈতিক মহলের দাবি। এ বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখলেন রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, শুধুমাত্র পদের জন্য রাজনীতি গণতন্ত্রর পক্ষে সুস্থ রাজনীতি নয়। এই রাজনীতি গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক। তৃণমূলে যা একইভাবে প্রযোজ্য। যিনি তৃণমূলে যাবেন না বলে ঘোষণা করেছিলেন, তৃণমূলের মুখপাত্র যার বিরুদ্ধে একের পর এক বিষেদাগার করেছেন। এখন সেই বাবুল সুপ্রিয়কে বরণ করে নিল তৃণমূল। এর থেকে সুবিধাবাদী রাজনীতি আর কি হতে পারে? তৃণমূলের মুখপাত্রর সেদিনের কথা ঠিক? নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা ঠিক? তৃণমূল কংগ্রেস কার্যক্রম হীন রাজনৈতিক দল, একটা সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দল, যা এই ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বাবুল সুপ্রিয়কে কটাক্ষ করে জানালেন যে, তিনি মনে করেন বাবুল সুপ্রিয় একজন লোভী রাজনীতিবিদ। রাজনীতিকে তিনি সরকারি চাকরি ভাবেন। কিছুদিন আগেই অর্পিতা ঘোষ রাজ্যসভার সাংসদ পদ ত্যাগ করেছেন। হঠাৎ কেন তাকে থিয়েটারে মনোযোগ দেওয়ার কথা ভাবতে হলো? বাবুল সুপ্রিয়র যোগদানের পর সবকিছু যেন স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হয়তো বাবুল সুপ্রিয় এই সুযোগের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন যে, তার কিভাবে রাজ্যসভায় স্থান হতে পারে? তার মানে ঝাল মুড়ির রফা আগেই হয়ে গিয়েছিল। রাজ্যসভাতে কিভাবে তাকে পাঠানো যায়? শুধুমাত্র সেই জন্যই অপেক্ষা করা হচ্ছিল। তাই হয়তো অর্পিতা দেবীকে এত তাড়াতাড়ি রাজ্যসভা ছেড়ে দিতে হলো, আর মন দিতে হলো থিয়েটারে।

অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয়র দলবদল প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী জানালেন যে, বাবুল সুপ্রিয়র চলে যাওয়ায় বিজেপির সাংগঠনিক প্রভাব যে পড়বে, তা তেমন কিছু নয়। কারণ বিজেপিতে বাবুল সুপ্রিয় কোন সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন না। যা নিয়ে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি জানিয়ে ছিলেন, কেন তাকে সাংগঠনিক দায়িত্বে আনা হয়নি? বারবার তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাই সাংগঠনিক জায়গা থেকে তেমন কিছু প্রভাব পড়বে না বিজেপির। কিন্তু জনমানসে প্রভাব পড়তে পারে। আগামী দিনে বিজেপির ভবিষ্যৎ নেই। শুধুমাত্র নির্বাচনের কারণে উঠে এসেছিল বিজেপি। আগামী দিনে বিজেপির ক্ষমতায় আসার কোন সম্ভাবনা নেই। বলেই বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতারা তৃণমূলে যোগদান করছেন। বিজেপি সম্পর্কে একটি খারাপ ধারণা মানুষের মনে তৈরি করে দিতে পারে। আগামী দিন বিজেপির কাছে আরো ভয়াবহ দিন হয়ে উঠতে পারে। রাজ্য রাজনীতিতে দাগ কাটার যে চেষ্টা করছে বিজেপি, সেখানে একটি বড় আঘাত আসতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!