এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ফিরহাদ হাকিমের সভায় ডাক পেলেন না বর্তমান সাংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী – তীব্র অসন্তোষ শাসকদলের অন্দরেই

ফিরহাদ হাকিমের সভায় ডাক পেলেন না বর্তমান সাংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী – তীব্র অসন্তোষ শাসকদলের অন্দরেই

সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধীদলের জনপ্রতিনিধিরা ডাক পান না বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ই তোপ দাগতে যায় বিরোধীদের। কিন্তু এবারে আর বিরোধীদের কোনো জনপ্রতিনিধি নন, খোদ শাসকদলের দলীয় সভায় আমন্ত্রণই পেলেন না বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি তথা বালুরঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী। আর যে ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও জোড়ালো হয়ে উঠেছে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ শে জানুয়ারি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ডাকা কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের পরিচালনায় বালুরঘাটের থানা মোড়ে একটি বিরাট জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা দক্ষিন দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি হাজি শেখ নুরুল ইসলাম সহ অন্যান্যদের। জানা গেছে, এই সভার মূল তদারকি করছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্র।

কিন্তু বিভিন্ন জনকে আমন্ত্রণ জানালেও সেই অতিথিদের তালিকা থেকে আশ্চর্যজনকভাবে ব্রাত্যই রয়ে গেছেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃনমূলের প্রাক্তন সভাপতি শংকর চক্রবর্তী। কিন্তু যেখানে খোদ দলনেত্রী সকল নেতা- নেত্রীদের একযোগে কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছেন, ঠিক সেখানে কেন দলের শীর্ষস্তরের নেতার সভায় এহেন বৈষম্য দেখা দিচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের অন্তরে প্রবল গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই জেলা থেকে শাসক দলের প্রার্থী ঠিক কে হবেন তা নিয়ে তীব্র কোন্দল শুরু হয়েছে বর্তমান তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বনাম বর্তমান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্রের মধ্যে। আর সেই দ্বন্দ্বের রেশই এই সভায় পড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বলা বাহুল্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃনমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ইয়াকুব আলি জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্রের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। আর বিপ্লববাবুর ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই এবং ফিরহাদ হাকিমের এই মঞ্চের রাশ নিজেদের হাতে রাখতেই কি অর্পিতা ঘোষ এবং শংকর চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো থেকে বাদ থাকল তৃণমূলের জেলা সভাপতির গোষ্ঠী?

কিন্তু যেখানে দলের শীর্ষ স্তরের নেতা নেত্রীরা আসছেন, সেখানে কেন আমন্ত্রণ পত্র দেওয়া হলো না দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি শংকর চক্রবর্তী এবং বর্তমান সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে? এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ইয়াকুব আলি বলেন, “সমাবেশকে কেন্দ্র করে একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই সভায় কাকে আমন্ত্রণ করা হবে, না হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতই সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে”। অন্যদিকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিপ্লব মিত্র।

কিন্তু দলের তরফে আমন্ত্রণপত্র না পেলেও সেই সভায় উপস্থিত তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “আমন্ত্রণপত্রে আমার নাম না থাকার কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলব না। কে আমন্ত্রন করল, কে করল না তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। এটা দলের কর্মসূচি। দলনেত্রীর নির্দেশে সেই সভায় উপস্থিত থাকব”। সব মিলিয়ে বালুরঘাটে তৃনমূলের সভায় দলীয় সাংসদ এবং প্রাক্তন জেলা সভাপতি আদৌ উপস্থিত হন কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!