এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > এনআরসি ইস্যুই গেম চেঞ্জার! এবার বড়সড় পরিকল্পনা নিয়ে আসরে নামতে চলেছে শাসকদল

এনআরসি ইস্যুই গেম চেঞ্জার! এবার বড়সড় পরিকল্পনা নিয়ে আসরে নামতে চলেছে শাসকদল


অসমে এনআরসি তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাতেও এনআরসি হবে বলে বিজেপি নেতাদের গলায় উঠে আসে। আর রাজ্য বিজেপির নেতারা এমন মন্তব্য করায় আসামের ছবি মনে করে বাংলার অনেকেই তীব্র আতঙ্কে ভুগতে শুরু করে। কেননা আসামে এনআরসির তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, সেখানে অনেক নাগরিকের নাম বাদ পড়েছে।

তবে এই ঘটনার পর বঙ্গের বিজেপি নেতারা ক্রমাগতভাবে বাংলাতে এনআরসি চালু হবে বলে দাবি করতে থাকেন। পাল্টা সেই এনআরসির বিপক্ষে প্রচার করতে থাকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা থাকতে রাজ্যে কোন ভাবেই এনআরসি করতে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ, তৃণমূলের কথায় – সাধারণ মানুষের ভয়ের কোন কারণ নেই। তবুও মানুষের মনে বিজেপি নেতাদের কথায় কিছুটা হলেও ভীতির সৃষ্টি হয়েছিল।

আর এতেই ভর করে সদ্যসমাপ্ত রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনে এনআরসির বিপক্ষে প্রচার করে, ভারতীয় জনতা পার্টিকে কুপোকাত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে ভিটেছাড়া হওয়ার ভয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন সাধারণ মানুষ। কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর এবং খড়্গপুরে তৃণমূল 3 এ 3 হওয়ার পরই তারা উপলব্ধি করেছে যে, বাংলায় বিজেপি হাওয়াকে অবরুদ্ধ করতে এনআরসির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সজাগ হওয়ার আবেদন জানাতে হবে।

আর এবার কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত, গত লোকসভা নির্বাচনে যে জেলা থেকে বিজেপি একটি আসন লাভ করেছে, সেই মালদহে বিজেপিকে রুখতে এনআরসির বিরুদ্ধে ময়দানে নামতে শুরু করল ঘাসফুল শিবির। জানা গেছে, এনআরসি ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মালদহে এবার তৃণমূল হাতিয়ার করতে চলেছে তাদের সংখ্যালঘু সেলকে। কেননা ইতিমধ্যেই বিজেপির গলায় সেই এনআরসি চালুর কথা শোনা গেলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ কিছুটা হলেও ভীত হয়ে রয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে দলের সংখ্যালঘু সেলকে ময়দানে নামিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহের সংখ্যালঘুদের সমর্থন আরও বেশি করে নিজেদের বাগে আনতে চাইছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় এই এনআরসির ভয়ে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন নথিপত্র জোগাড় করতে শুরু করে দিয়েছেন। তবে বরাবরই রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জনগণের পাহারাদার বলে দাবি করে।

“যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, ততদিন বাংলায় এনআরসি হবে না” – একথা তৃণমূলের তরফে জানানো হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে মালদহে সংখ্যালঘু সমাজের বেশি মানুষের বসবাস হওয়ায়, সেখানে এনআরসি ইস্যুকে বিজেপির বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে দলের সংখ্যালঘু সেলকে ময়দানে নামাচ্ছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। তবে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়, কংগ্রে এবং সিপিএমের পক্ষ থেকেও এনআরসির বিরুদ্ধে জোর প্রচার করা হচ্ছে।

তবে দলের সংখ্যালঘু সেলকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের এই ময়দানে নামা ভোটবাক্সের ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত একাংশের। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এনআরসি ইস্যুতে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেল ব্লক থেকে বুথস্তর পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন। নথি ঠিক করতে গিয়ে বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

তাই তাদের নথিপত্র সংশোধনের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সেল সহায়তা করবে। বুথ পর্যন্ত এনআরসি বিরোধী আন্দোলনকে নিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রচার করা হবে।” সব মিলিয়ে লোকসভায় মালদহে পদ্মফুল ফুটলেও বিজেপি হাওয়াকে ফিকে করতে বিধানসভার আগে এনআরসির বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রচার কতটা কাজে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!