উলটপুরান, নির্বাচনে বিজেপির ফল খারাপ হতেই দল ছেড়ে সিপিআইএমে যোগ শুরু, ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বাম শিবির জাতীয় October 25, 2019 সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। আর একদম শেষের সারিতে চলে গেছে একদা বাংলার শাসন ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্ট। এবারের নির্বাচনে একটি আসনও নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি তারা। তবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট উঁকিঝুঁকি মারলেই শুনতে পাওয়া যায়, বিজেপি তাদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়ালেও আদতে লাভ হবে বামেদের। কারণ বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না। এরপর তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বামেরাই সারা রাজ্য জুড়ে গর্জে উঠবে। তবে বাংলার বাম নেতারা এই দাবি করলেও এখনও পর্যন্ত তাদের অক্সিজেন নিয়ে ফোরফ্রন্টে রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি। কিন্তু বাংলাতে এমন কোনো প্রবণতা দেখা না গেলেও সদ্য ক্ষমতা হারানো ত্রিপুরাতে এবার বাড়তি অক্সিজেন পেতে করতে শুরু করল সিপিআইএম। বস্তুত, এদিনই মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার ফলাফল শেষে দেখা যায়, যে বিজেপি কিছুটা হলেও সেখানে চাপে রয়েছে। আর এরপরই তার প্রভাব পড়ে ত্রিপুরা রাজ্যে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিনের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত 2018 সালে বামেদের সরিয়ে এই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। আর তারপরই বাম থেকে প্রচুর নেতাকর্মী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেন। কিন্তু হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলের পরই এদিন দেখা যায় যে, সেই ত্রিপুরায় বিজেপি পরিচালিত সিপাইহাওর পঞ্চায়েতের 7 জন সদস্য তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ বিজেপির পদ্মফুলের রমরমা জায়গায় ফের উঠে এল সিপিএম! তাহলে কি হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব পড়ল ত্রিপুরায়! এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমে যোগ দেওয়া নেতারা বলেন, “রাজ্যে বিজেপি তাদের কন্ঠরোধ করছে। আর তাই বিজেপির হয়ে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।” তবে ত্রিপুরার মত এখন যদি সারা দেশেই এই প্রবণতা চলতে থাকে, তাহলে বামেরা ফের যে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করবে সেই ব্যাপারে কিছুটা হলেও নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -