১০০ বছরেরও বেশি বেঁচে থাকার অভিনব কায়দা জানেন যে স্থানের মানুষেরা, তাঁদের জীবনে উঁকি দিয়ে আপনিও জেনে নিতে পারেন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার রসদ। অন্যান্য শরীর-স্বাস্থ্য February 4, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় বলে, শতায়ু অভিশাপ। কিন্তু বর্তমানে মানুষের সুস্থ হয়ে অল্প জীবন অতিক্রম করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করেন অনেকে। তবে পৃথিবীতে এমন একটি জায়গা আছে, সেখানকার মানুষদের কাছে ১০০ বছর সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকাটাও আশ্চর্যের কিছু না। তবে এই ঘটনার সঙ্গে বর্তমানে নানা ঘটনার মাধ্যমে বিতর্কিত জায়গা হিসেবে উল্লেখিত জায়গাগুলোর মধ্যে পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তানের নাম প্রায়ই শোনা যায়। তবে অশান্তি ছাড়াও এই অঞ্চল অন্য কারণেও বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে। সেখানে যদিও বিতর্কের থেকে আশ্চর্যের ব্যাপারই বেশি। বস্তুত, এই প্রদেশের উত্তর প্রান্তে হুনজা উপত্যকা অবস্থিত। যার একদিকে আফগানিস্তানের ওয়াকান করিডর ও অন্যদিকে চীনের শিনজিয়াং এলাকা। আর এই সুন্দর গিলগিট-বাল্টিস্তান উপত্যকাতেই বাস ‘হুনজা’ বা ‘বুরুশো’ নামে একটি জনগোষ্ঠীর। তবে নিশ্চয়ই ভাবছেন তো এর মধ্যে আবার আশ্চর্য হওয়ার কি হল। বস্তুত, অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মত এটিও একটি জনগোষ্ঠী হলেও এই গোষ্ঠীর মানুষদের বিশেষত্ব হল, এরা চিরনবীন। সমীক্ষায় যেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের গড় আয়ু ৬৭ বছর, সেখানে হুনজাদের গড় আয়ু ১২০ বছর! আশ্চর্য হচ্ছেন তো? তবে ২০০০ সালের আদমসুমারি অনুযায়ী, হুনজা উপত্যকাতে বসবাসকারী প্রায় ৮৭০০ মানুষের জীবন এমনটাই কথা বলছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে অবাক হওয়ার আগে এটাও জেনে রাখা প্রয়োজন যে হুনজা সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে ১৬৫ বছর বাঁচার ঘটনাও দেখতে পাওয়া যায়। আর আরও আশ্চর্যের ব্যাপার তাদের বয়েসের তুলনায় দেখতে অনেকটাই জোয়ান। সেখানে যেমন একজন ৯০ বছরের বৃদ্ধ বাবা হওয়ার যোগ্য, তেমনই ৬০ থেকে ৭০ বছরের হুনজা মহিলাও সুস্থ সন্তান প্রসব করতে সক্ষম হন। আর সেখানেই প্রশ্ন ওঠে যে এটা কিভাবে সম্ভব? জানা গেছে, সবসময় হাসিখুশি থাকাই তাঁদের বেঁচে থাকার মন্ত্র। সেখানে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ বা মানসিক চাপ বলে কোনো বস্তুই নেই তাঁদের জীবনে। সেইসঙ্গে খাওয়া নিয়েও অদ্ভুত নিয়ম আছে তাঁদের। এই মানুষেরা দিনে মাত্র দু’বার খাবার খান। একটা সূর্য ওঠার পরে আর একটা সূর্য অস্ত যাওয়ার পর। সূর্য ওঠার আগে তাঁরা একটু বেশি খাবার খা ও সূর্যাস্তের পরে পরেই তাঁরা হালকা কিছু খেয়ে নেন। এর মাঝে আর কোনো খাবার খান না। সেইসঙ্গে এই সম্পুর্ণ খাবার তাঁরা নিজেরাই প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদন করেন। সেখানে থাকে প্রয়োজনীয় খাদ্যশষ্য থেকে শুরু করে সবজি। যার মধ্যে থাকে অ্যাপ্রিকট, লেবু, বাদাম, শিম, ভুট্টা ও বার্লি। তবে খাদ্যের মধ্যে মাখন, পনির, ডিম ও দুধ এড়িয়ে চলেন তাঁরা। মাংস বলতে ভেড়া বা মুরগির মাংস খান। সেটাও বছরে হাতে গোনা কয়েকবার। তবে তুমুরু নামের এক প্রকার উদ্ভিদের পাতা তাঁরা ফুটিয়ে চায়ের মতো পান করেন, যা কিনা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে বছরে চার মাস শুকনো অ্যাপ্রিকট ফলের গুঁড়ো শরবত করে খান তাঁরা। সেইসঙ্গে শরীরের কসরত হিসেবে প্রতিদিনই বিভিন্ন কাজে তাঁদের প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হাঁটতে হয়। আপনার মতামত জানান -