লকডাউনে নেই নজরদারি, একরের পর একর সরকারি জমি হয়ে যাচ্ছে জবরদখল! কলকাতা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য June 4, 2020 করোনা ভাইরাসকে আটকাতে বর্তমানে লকডাউন চলছে। আর সেই লকডাউনের সুযোগে ওত পেতে বসেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবার লকডাউনের মধ্যে প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাবে ঝাড়গ্রামে প্রায় কুড়ি একর সরকারি জমি জবর দখল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। যার ফলে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। সরকারি জমি কেন এভাবে জবরদখল হল! তাহলে কি প্রশাসনের সঠিক নজরদারি নেই, এখন এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাংশ। জানা গেছে, ঝাড়গ্রামের একলব্য সরণির ধারে একটি সরকারি জমি রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই জমির অনেক অংশ দখল করে নানা মানুষ তাদের বাড়িঘর তৈরি করে ফেলেছেন। লকডাউনের মধ্যে প্রশাসনের সঠিক নজরদারী না থাকার কারণে এই অঞ্চলগুলিতে জমি চক্রের সঙ্গে যুক্ত মাফিয়ারা সরকারি জমিতে জবরদখলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তবে একলব্য স্কুল এবং রামকৃষ্ণ মিশন লাগোয়া রাস্তার ধারে যে সরকারি এবং রায়তি দু’ধরনের জমি রয়েছে, তার মধ্যে সরকারি জমি দখল করা নিয়ে চিন্তা শুরু হয়েছে অনেকের মধ্যেই। প্রসঙ্গত, গত 2017 সালের 4 এপ্রিল এই একলব্য স্কুলের পাশে পাশে পাঁচ একর জমি সরকারিভাবে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু লকডাউনের সুযোগে সেই সরকারি জমিতে অনেকে ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলায় তৈরি হয়েছে সমস্যা। কেন এভাবে সরকারি জমিতে বসতবাড়ি গড়ে উঠছে? বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন, করোনা ও লকডাউন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় প্রশাসন দুই মাস অন্য কোনো দিকে নজর দিতে পারেনি। আর সেই সুযোগেই এই কাজকর্ম করে চলেছেন কিছু মানুষ। প্রশাসন অবিলম্বে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক। কিন্তু তারা কি জানত না যে, জায়গাটা সরকারি জায়গা? তার পরেও কেন তারা এখানে বাড়িঘর করে বসবাস করা শুরু করল? জবরদখলকারীদের বক্তব্য, জায়গাটা পড়েছিল. আমাদের বসবাসের কোনো জায়গা ছিল না। তাই আমরা বাড়ি করেছি। তবে এই ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, “সরকারি জমি দখল করা বেআইনি। এরকম হয়ে থাকলে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দখল উচ্ছেদ করা হবে। বিষয়টি আমি পুলিশকে দেখতে বলেছি।” তবে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক এখন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও, পুলিশ প্রশাসনের উচিত সমস্ত দিক সামলে রাখা। সেদিক থেকে লকডাউনের সময় কেন পুলিশ প্রশাসন এই দিকে নজর রাখল না, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এখন জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে নতুন করে কোনো বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -