পিকের শুদ্ধিকরণের মন্ত্র আপাতত শিকেয় তুলে বিজেপির পালের হাওয়া কাড়তে কোমড় বাঁধলেন মমতা! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বেশ কয়েকদিন যাবৎ তৃণমূল শিবিরে দুর্নীতি নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধী শিবির থেকে রাজ্যের সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেই মুখ খোলে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শমতো তৃণমূল শিবিরে শুরু হয় শুদ্ধিকরণ নীতি। কিন্তু সেই শুদ্ধিকরণ নীতিরও এবার কাটছাঁট করতে হলো তৃণমূল শিবিরকে এবং তার একমাত্র কারণ মুকুল রায়। মুকুল রায়ের চাণক্য নীতি সম্পর্কে কিন্তু ওয়াকিবহাল তৃণমূল শিবির আর তাই মুকুল রায় বিজেপি শিবিরে পছন্দমত স্থান পাওয়ায় এবার নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্ব। বর্তমানে তৃণমূলের লক্ষ্য একটাই- একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মসনদ দখল করে হ্যাটট্রিক করা। আর তাই এবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা করছেন দলের পুরোনো নেতাদের ওপর। শুদ্ধিকরণকালে দলের অনেক নেতাই শাস্তি পেয়েছেন, অনেক নেতাই আবার শোকজের নোটিশ হাতে পেয়েছেন। কিন্তু এবার শোকজ ধরানো বেশকিছু নেতাদের উত্তরে সন্তুষ্ট তৃণমূল নেতৃত্ব বলে জানা গেছে। সেদিকে নজর দিয়েই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদেরকে জেলার বিভিন্ন কমিটিতে রাখছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচন জেতা। আর তার জন্য তৃণমূলের প্রত্যেক গোষ্ঠীর দলবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেই পরিপ্রেক্ষিতেই মনে করা হচ্ছে, বিদ্রোহী ও বিক্ষুব্ধ নেতাদের একসাথে নিয়ে চলতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। সম্প্রতি জলপাইগুড়ির জেলা কমিটিতে বিদ্রোহী নেতাকে বড় পদ দেওয়া হয়েছে। আবার বিক্ষুব্ধ এবং শোকজ হওয়া নেতাদেরও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখা হয়েছে। তবে শোকজ হওয়া নেতারা জেলা কমিটিতে স্থান পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই। সেক্ষেত্রে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে বলা হয়েছে, শোকজের উত্তরে নেতারা যে জবাব দিয়েছেন তা যথেষ্ট সন্তোষজনক। আর তাই তাঁরা তৃণমূলের ভাবনায় ও পরিকল্পনায় আবার অংশ নিতে পারছেন। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি কিষাণকুমার কল্যাণী জানিয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দল সন্তুষ্ট। আর তাই সেইসব নেতাদের সক্রিয় হতে এখন আর কোন বাধা নেই। লক্ষ্য একটাই, বিধানসভার মসনদ দখল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াইতে জেতার জন্য এখন রীতিমতো তোড়জোড় শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা দেখে মনে করা হচ্ছে, এবারের বিধানসভা নির্বাচন কিন্তু খুব একটা সহজ হবে না কোনো দলের কাছেই। আর সেকথা মর্মে মর্মে বুঝতে পেরেই তৃণমূল নেত্রী এবার বিক্ষুব্ধ নেতাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত দেখার, তৃণমূল নেত্রীর পরিকল্পনা বিজেপির পালের হওয়া কেড়ে নিতে পারে কিনা! আপনার মতামত জানান -