এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > মোদীর দেখানো পথেই এবার চীনকে সজোরে ‘থাপ্পড়’ দিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও! ঘুম উড়ছে জিনপিংয়ের

মোদীর দেখানো পথেই এবার চীনকে সজোরে ‘থাপ্পড়’ দিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও! ঘুম উড়ছে জিনপিংয়ের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –আমেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন চীনকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিকারক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে জগৎসভায় তাকে একঘরে করে দেয়, সেসময়ই চীন লাদাখ নিয়ে ভারতের সঙ্গে শুরু করে দেয় জমিবিবাদ। ভারত সহ সমস্তদেশের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়ে, নিজের দেহ থেকে করোনার কলঙ্কমোচন ই যে চীনের এই জমিবিবাদের মূল কারণ, অনেকেরই তা অভিমত। এই পরিস্থিতিতে ভারতও চুপ করে বসে নেই। নিজেকে ভারত যেমন যুদ্ধবিমান সহ একাধিক আধুনিক অস্রে সজ্জিত করেছে, তেমনি চীনকে জোর আর্থিক ধাক্কাদিতে গ্রহণ করেছে একাধিক পদক্ষেপ।

বহু একাধিক চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। নরম-গরম একাধিক বার্তা ভারতকে দিয়েও চীন এই অ্যাপগুলি কিন্তু ভারতে পুনরায় চালু করতে পারেনি। এরফলে বিরাট অর্থনৈতিক ধাক্কা খেয়েছে চীনের টেকবাজার, এমনটাই বিশেষজ্ঞমহলের ধারণা। এবার ভারতের দেখানো পথে পদচারণা করলো আমেরিকা। চীনের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ হলো আমেরিকায়।

এয়ারফোর্স ওয়ানের একটি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এরকম একটি কঠোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। মূলত, তথ্যের সুরক্ষার কারণেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। জনপ্রিয় এই চীনা অ্যাপ তীর প্রতি রাষ্ট্রপতির অভিযোগ, এর দ্বারা আমেরিকার দেশবাসীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি চীনের হাতে চলে যাচ্ছে। যা দেশবাসী তথা দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপদজনক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের কারণে আমেরিকা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আর পৃথিবীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তারের জন্য চীনের উপরে খড়গহস্ত আমেরিকা। রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিকারক দেশ হিসেবে চীনকে অভিযুক্ত করেছেন। চীনের সঙ্গে প্রকাশ্য বিবাদও তিনি শুরু করেছেন। মহামারীর তথ্য গোপন করে চীন সমগ্র বিশ্বকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে এই অভিযোগ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এমনকি, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবার পরেও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা চীনের সঙ্গে পক্ষপাত করে চীনকে আড়াল করে রেখেছে, করোনা সংক্রমণে চীনের দায়িত্বকে ধামাচাপা দেবারও চেষ্টা করেছে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে এমনি গুরুতর অভিযোগ আমেরিকার। এই অভিযোগের পর আমেরিকা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে আর্থিক সাহায্যদান বন্ধ করে দিয়েছে। তার ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

অন্যদিকে, আমেরিকার দূতাবাস থেকে আমেরিকার অভ্যন্তরের খবর গোপনে চীনের কাছে পৌঁছে দেয় আমেরিকাস্থিত চৈনিক দূতাবাসগুলি এমন অভিযোগ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পর থেকেই সমস্ত চীনা দূতাবাসগুলি বন্ধ করে দেবার আদেশ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। এর জবাবে, চীন ও বন্ধ করে মার্কিন দূতাবাস গুলি। তবে চীনের একটি জায়গা থেকেই এখনো পর্যন্ত মার্কিন দূতাবাস সরানো হয়েছে। বাকি জায়গাগুলিতে এখনো মার্কিন দূতাবাস রয়ে গেছে, এমনটাই জানা গেছে বিভিন্ন সংবাদসূত্রে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!